আলিপুরদুয়ার: সিঁটিয়ে রইল বাঘ, হাতি, বাইসনরা। দাপিয়ে বেড়াল বাইক। বন দপ্তরের নিয়মকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে বক্সা বাঘবনে কোর এলাকায় দর্শনার্থীদের বাইকের দাপাদাপি চলল।
শনিবার কোর এলাকার প্রায় ১৫ কিলোমিটার জঙ্গলের রাস্তায় যানবাহনের চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হয়েছে বনকর্মী থেকে পুলিশকর্মীদেরও। শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে জয়ন্তীর মহাকাল মন্দিরে যাতায়াতের জন্য যানবাহন থেকে পুণ্যার্থীদের এন্ট্রি ফি’র ক্ষেত্রে তিনদিনের ছাড় দেওয়া হয়েছিল ঠিকই। তবে এবছর আগেই বন দপ্তর ঘোষণা করেছিল, জঙ্গলের পথে বাইক যেতে দেওয়া হবে না। কিন্তু সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শনিবার ১০ হাজারের বেশি বাইক রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে ওই পথে দাপিয়েছে। যানবাহনের ভিড়ে মাঝেমধ্যে জয়ন্তীর ওই রাস্তায় যানজটও তৈরি হয়েছে এদিন।
গত কয়েকদিন ধরেই বক্সার জঙ্গলের পথ ধরে জয়ন্তীর উদ্দেশে হাজার হাজার পুণ্যার্থী বিভিন্ন যানবাহনে চেপে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৫টি হাতির একটি দল ২৩ মাইল সংলগ্ন যাতায়াতের পথ আটকে ছিল ঘণ্টাখানেক। ওই রাতেই হাতির আরও একটি দল জঙ্গল থেকে জয়ন্তী নদীখাতে নেমে এসেছিল। দুটি ক্ষেত্রেই বনকর্মীরা হাতিদের তাড়িয়ে দিলেও যে কোনও সময় বিপদের আশঙ্কা তাঁরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। শুক্রবার ২৩ মাইল থেকে জঙ্গলের পথে কিছুদূর এগোতেই রাস্তার পাশে একটি বাইসনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন পুণ্যার্থীরা। বাইসনটি যে কোনও সময় তেড়ে গেলে বিপদের আশঙ্কা ছিল। কয়েকবছর আগে এক বাইক আরোহীকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছিল একটি বাইসন। তারপরও শিক্ষা নেয়নি কেউ।
বন দপ্তরের ডিএফডি (পূর্ব) দেবাশিস শর্মা বলেন, ‘জঙ্গলের পথে বাইক নিয়ে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু দলে দলে লোক বনকর্মীদের কথা না শুনে, বাধা উপেক্ষা করে বাইক নিয়ে সেই ঝুঁকির যাত্রাই করেছেন।’ সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা, মানছেন তিনিও।