রায়গঞ্জঃ রায়গঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত ১৭ ও ১৮ নং জেলা পরিষদের দুটি আসনে প্রার্থী নিয়ে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে দলের জেলা সভাপতির। জেলা সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়াল দাবি করেন, রাজ্য থেকে জেলা পরিষদের যে তালিকা পাঠানো হয়েছে তাতে ১৭ নং আসনে প্রার্থী হচ্ছেন অনন্যা মজুমদার এবং ১৮ নং আসনে প্রার্থী হচ্ছেন পুতুল দাস সরকার। কিন্তু জেলা সভাপতির দাবি মানতে নারাজ জেলা পরিষদের বিদায়ী উপাধ্যক্ষ স্বপন মুর্মু এবং রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। বিধায়কের অভিযোগ জেলা সভাপতি দলের কর্মীদের ভুল পথে পরিচালিত করছেন। ফলে সবাই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। ইতিমধ্যে আই প্যাক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৮ নং আসনে প্রার্থী হচ্ছে নবনীতা দাস। কানাইয়ালাল নতুন তালিকা পেয়েও চেপে আছেন এবং মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে অন্য কথা বলছেন।
অন্যদিকে জেলা পরিষদের বিদায়ী উপাধ্যক্ষ স্বপন মুর্মুর দাবি, কানাইয়াবাবু আমাকে গতকাল জানিয়েছেন আমার স্ত্রী পূর্ণিমা মুর্মু প্রার্থী হচ্ছেন। সেজন্য মনোনয়ন জমা করতে বলেছেন। আজ কেন উলটো কথা বলছে জানিনা। আমার স্ত্রী প্রার্থী হওয়ায় আদিবাসী সমাজ খুব খুশি। আজ সময় চলে যাওয়ায় আগামীকাল স্ত্রী মনোনয়ন জমা দেবেন। বিধায়ক বলেন, আমাকে দলের রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে এবং কানাইয়াবাবুকে আমিও জানালাম তা সত্বেও উনি আগের তালিকা অনুযায়ী মিডিয়াকে ভুল কথা বলছেন। আসলে উনি চাইছেন সব কিছু ওনার ইশারায় হবে, কিন্তু দল তো আছে। দলের ঊর্ধতন নেতৃত্ব আছে। তারা পর্যবেক্ষন করে দেখেছেন নবনীতা দাস যোগ্য প্রার্থী এবং জিততে পারবেন সেজন্য তাকে প্রার্থী করেছেন। উনি যেটা করছেন সেটা ঠিক করছেন না। দলের উপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে। শেষ পর্যন্ত এই দুই আসনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পড়েছেন কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ১৭ নং আসনে পূর্ণিমা চরে মুর্মু এবং ১৮ নং আসনে নবনীতা দাস মনোনয়নপত্র জমা করবেন। জেলা সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়ালের দাবি, দল একটাই তালিকা পাঠিয়েছে সেখানে ২৬ জনের নাম আছে। ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তালিকা বলে কিছু নেই। সেই তালিকা অনুযায়ী অনেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছে, অনেকে আগামীকাল দেবেন। তাই আমি যা বলেছি জেনে শুনে বলেছি।