উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তরপত্রে কারচুপি! আদালতের নির্দেশে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কর্মরত ৯০৭ জন শিক্ষকের নামের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। অভিযোগ এই শিক্ষকদের চাকরির পরীক্ষার উত্তরপত্রে কারচুপি করা হয়েছে। তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তিনি এই শিক্ষকদের উত্তরপত্রও প্রকাশ করতে বলেছিলেন। যদিও মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। তবে বুধবার ৯০৭ জনের নাম এবং রোল নম্বর প্রকাশ করেছে কমিশন।
একাদশ – দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বেআইনিভাবে নিযুক্ত ৯০৭ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার ওই প্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। ববিতা সরকারের করা একটি মামলায় গত ৭ জুলাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে যে ৫,৫০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা-সহ ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। উত্তরপত্রের পাশাপাশি নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম-সহ ৯০৭ জনের তালিকাও প্রকাশ করতে হবে। এই ৯০৭ জনের বিকৃত ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিল সিবিআই।
এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই রায় অপরিবর্তিত থাকে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। এর পর এসএসসি এবং চাকরিপ্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পর সুপ্রিম কোর্টে যায় কমিশন। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, এখনই ওএমআর শিট প্রকাশ করার দরকার নেই। তবে সেগুলি মুখবন্ধ খামে জমা দিতে হবে আদালতে। সঙ্গে ওয়েটিং লিস্টে থাকা ব্যক্তিদের ওএমআর শিটও জমা দিতে হবে। সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে ৯০৭ জনের নামের তালিকা। তবে নামের তালিকায় বাড়ির ঠিকানার অংশটি বাদ দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। তার পরদিনই আদালতের নির্দেশে ওয়েবসাইটে ৯০৭ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি। এদের প্রায় সবাই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন বলে কমিশন সূত্রে খবর।