উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ চিকিৎসকদের জেনেরিক ওষুধের নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হবে কি না, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। সম্প্রতি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল একটি নির্দেশিকাতে বলা হয়, সারা দেশে এবার থেকে চিকিৎসকদের জেনেরিক ওষুধের নাম লিখতে হবে। কমিশনের এই নির্দেশিকার তীব্র বিরোধীতা করেন চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
সম্প্রতি জাতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, জেনেরিক ওষুধ না লিখলে চিকিৎসকদের শাস্তি দেওয়া হতে পারে। সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে লাইসেন্স বাতিলও করা হতে পারে। কাউন্সিলের এই নির্দেশিকার বিরোধীতা করে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। চিকিৎসকদের বিরোধের মুখে পড়ে পিছু হঠে জাতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিল। গতকাল আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, পরবর্তী নোটিশ পর্যন্ত জেনেরিক ওষুধ সংক্রান্ত নির্দেশিকা কার্যকর হবে না।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্ট শরদ কুমার আগরওয়াল বলেছিলেন, ‘ভারতে জেনেরিক ওষুধের গুণমান ঠিকভাবে যাচাই করা হয় না। জেনেরিক ওষুধ লিখে দিলে রোগীরা সস্তার ওষুধের দিকেই বেশি ঝুঁকবেন। সেই ওষুধের গুণমান খারাপ হলে রোগ আরও জটিল আকার নিতে পারে। চিকিৎসক হয়ে রোগীকে আরও বিপদে ফেলা যায় না’।
তিনি আরও বলেন, ‘জেনেরিক ওষুধ পেসক্রিপশনে লেখার নিয়ম জারি করার আগে ওষুধের গুণমানও নিশ্চিত করা উচিত। সেটা না করে জেনেরিক ওষুধ খেতে বলে দিলে রোগীর বিপদ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে’। এই বিরোধের মুখে আপাতত স্থগিত রাখা হল এনএমসি-র নির্ধারিত আচরণ বিধি।