হরিশ্চন্দ্রপুর: তীব্র গরমে জলস্তর অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছে। পানীয় জল পরিষেবা পৌঁছোচ্ছে না হরিশ্চন্দ্রপুরের একাধিক গ্রামে। পরিস্রুত পানীয় জলের অভাবে একাধিক গ্রাম থেকে বিক্ষোভের খবর সামনে আসছে। ভোট বয়কটেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার গ্রামীণ সড়ক অবরোধ করে কলসি, বালতি রেখে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয়রা। হরিশ্চন্দ্রপুর ১-এর রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভক্তিপুর দাসপাড়ার ঘটনা।
শতাধিক পরিবারের বাস ওই এলাকায়। বেশিরভাগ মানুষই কৃষিজীবী। দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন। ফলে বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে সাব মার্সিবল পাম্প বা নলকূপের ব্যবস্থা করতে পারেননি। এলাকায় পঞ্চায়েতের তরফে বসানো হয়নি কোনও সাব মার্সিবল পাম্প। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে বারবার বলা হলেও কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। তাই পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই বিক্ষোভের পথ বেছে নিলেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার একটি বিদ্যালয় থেকে জল আনতে গেলে সেখানেও বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ফলে জল সংকটে ভুগছেন তাঁরা। এমতাবস্থায় সমস্যার সমাধান না হলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
গৃহবধূ জয়ন্তী দাস বলেন, ‘গ্রামে অনকে কাজ হয়নি। আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু এই গরমে জল পাচ্ছি না। জলের জন্য অনেকটা দূর মাঠে যেতে হচ্ছে। সেচের জল ঘরে আনত হয় কোনওরকমে। গ্রামে চাপাকল থাকলেও খড়ায় জল উঠছে না। কী করে ভোট দেব।’ রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল পরিচালিত। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যও শাসকদলের। এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, কাজ করার ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক স্বার্থ দেখে কাজ করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য।
যদিও জলকষ্টের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কাবুল দাস। তিনি জানান, এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের অভাব রয়েছে। সে বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। হরিশচন্দ্রপুর ১ এর বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, জলস্তর নেমে যাওয়ায় জলের সমস্যা হয়েছে। আপাতত পিএইচই দপ্তর থেকে জলের ট্যাংকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীতে নলকূপ বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।