হেমতাবাদ: বর্ণপরিচয়ের রাখালের গল্প মনে আছে? যে কি না মাসির কান কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছিল? বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামেও দুই জায়ের লড়াইয়ে একজনের কান খোয়া গেল। সামান্য অংশ নয়। গোটা কানটাই শরীর থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। সেই ছেঁড়া কান শাড়ির আঁচলে বেঁধে হাসপাতালে নিয়ে এল ওই মহিলা। অবিশ্বাস্য তৎপরতায় ইএনটি সার্জেন তা জুড়েও দিলেন। কোনও বেসরকারি হাসপাতাল নয়, এই কৃতিত্ব দেখিয়েছে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের সেই অপারেশন সফল হবে কি না তা সময়ই বলবে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহার থানার বিধি বাড়ি এলাকায়। জখম বধূর নাম কাতিরুন বিবি (৪৬)। বাড়ির জমির রাস্তা নিয়ে ঝগড়া চলাকালীন কাতিরুন বিবির ডান কান কামড়ে ছিঁড়ে নেয় তাঁর জা। এখানেই শেষ নয় সাঁতানু মহম্মদ সহ চারজন তাঁর উপর হামলা চালায়। তারপরই তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন জখম বধূকে নিয়ে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানেই আঁচল থেকে বেরিয়ে আসে কানের দুল পড়া সেই কাটা কান। দৃশ্য দেখে চমকে ওঠেন ইএনটি সার্জেন। দীর্ঘক্ষণ অস্ত্রোপচারের পর কান জুড়লেন তাঁরা। তবে চিকিৎসকের বক্তব্য, ‘তিন-চার দিন গেলে বোঝা যাবে অপারেশন কতটা সফল। তবে রক্ত সংবহন ঠিক থাকলে কান জুড়েও যেতে পারে।‘ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, ইটাহারেও ছাগল ঢোকা কেন্দ্র করে দুই জায়ের গণ্ডগোল। বিবাদের জেরে দেওর ও জায়ের কানের লতি কামড়ে ছিঁড়ে দেয় এক মহিলা। জখম বধূর নাম আজেমা খাতুন(৩৭)। বাড়ি হেমতাবাদ থানার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নওদা গ্রামে। বর্তমানে তিনি রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।