গয়েরকাটা: বানারহাট ব্লকের শালবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নাথুয়ার ফটকটারি এলাকার দুর্গাপুজোর চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। এখানকার এক রাজবংশী কৃষক পরিবারে দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী দশভূজা। নন্দরাম রায় এই পুজো শুরু করেছিলেন। এই পুজোয় আগে প্রতিপদ তিথি থেকে দশমী পর্যন্ত টানা দশ দিন পুজো হত। তবে নন্দরাম বাবুর মৃত্যুর পর এখন স্বাভাবিক ছকেই চলে পুজো। এখন নন্দরাম বাবুর দুই ছেলে সুশীল রায়, হেমকুমার রায় ও তাঁর নাতিরা এই পুজো পরিচালনা করেন। পারিবারিক পুজো হলেও পাড়া প্রতিবেশীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে এই পুজো অনেকটাই সর্বজনীন রূপ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
নন্দরামবাবুর বাড়িতেই রয়েছে দুর্গা মন্দির। সেখানেই পুজোর আয়োজন হয়। তবে পুজো হয়ে গেলেও দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না এখানে। এক বছর ধরে মন্দিরেই দেবীর নিত্যপুজো চলে। পরের বছর মহালয়ার দিন মন্দির লাগোয়া পুকুরে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ৪৮ বছর আগে নন্দরাম বাবু নিজের ইচ্ছেতেই এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন। চাষবাস করে সারা বছরে যা আয় হত তা দিয়েই তিনি বছরের পর বছর দুর্গাপুজো করে গিয়েছেন। জমির চাল দিয়েই তৈরি হত দেবীর ভোগ। মন্দিরের পাশের পুকুরে নবপত্রিকা স্নানের পাশাপাশি এই জল সংগ্রহ করেই চলত পুজোর যাবতীয় কাজ। আগে মৃৎশিল্পী মন্দিরে এসে প্রতিমা তৈরি করতেন। তবে এখন তা বাইরে থেকেই আনা হয়। এই পুজোতে চালকুমড়ো বলির প্রচলন আছে।