কলকাতা: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে সিবিআই ও এনআইএ’র হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার আবেদন জানানো হয়। মামলাটি গ্রহণ করেছে বেঞ্চ। মঙ্গলবার মামলার শুনানি হবে। মামলাকারীর আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতার জড়িত থাকার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। রাজ্য পুলিশের হাতে তদন্তভার থাকলে তাঁরা প্রভাবিত হতে পারেন। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, রবিবার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। সাতসকালে তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে যায় একটি দোতলা বাড়ি। আশপাশের অন্তত ১০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ৫০-১০০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে কর্মরত শ্রমিকদের দগ্ধ দেহ। এমনকি চিলেকোঠার ছাদেও তা ছিটকে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
এদিকে ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ও প্রশাসনের মদতেই অবৈধ বাজি কারখানার রমরমা। যদিও এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি তৃণমূলের। প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজি কারখানা চললেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে অমিত শা’কে চিঠি লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা। তবে দোষীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। বিজেপি এবং সিপিএমের তরফে এদিন পৃথক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। আগামীকাল মামলার শুনানি হবে।