উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার কুন্তল ঘোষ বার বার দাবি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এর আগে শহিদ মিনারের সভা থেকে একই অভিযোগ করেছিলেন খোদ অভিষেক। এবার সেই পথে হাঁটলেন না কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, তাঁর সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য তাঁকে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি।
বুধবার আদালতে হাজির করানো হয় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষন ভদ্রকে। আদালতে নিয়ে যাওয়ার আগে সুজয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর কাছে কী কী বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে তা সুজয়ের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। বেরোনোর সময় জবাবে সুজয় বলেন, ‘‘সবই জানতে চাইল। বললাম। লিখলাম। তাঁর সাহেবের বিষয়ে জানতে চেয়েছে, কিন্তু তদন্তকারীরা অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দেয়নি।”
এর আগে কুন্তল দাবি করেছিলেন, অভিষেকের নাম নেওয়ার জন্য তাঁর উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল। সেই অভিযোগ হেস্টিংস থানায় পৌঁছে দেওয়া হয়। কুন্তলের এই দাবির আগে শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক জানিয়েছিলেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, প্রয়োজনে অভিষেককে প্রশ্ন করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই রায় বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হাও।
গ্রেপ্তার হওয়ার আগে সুজয় দাবি করেছিলেন, “২০০৯ থেকে তাঁর ‘সাহেব’ তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের অফিসে চাকরি করছেন পৃথিবীর কারও ক্ষমতা নেই আমার সাহেবকে ছোঁবে। কারণ তাঁর নাম কেউ করতে পারবেন না। তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারবে না, তাঁর সঙ্গে কেউ ফোনে কথা বলতে পারবেন না। আমার কাছ অবধি এসে থেমে যেতে হচ্ছে।’’ এর পর যদিও ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন সুজয়।