উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে কি কোনও বড় অপারেশনে নামছে ইডি? গত শুক্রবার ইডির ডিরেক্টর সঞ্জয় মিশ্র কলকাতায় আসতেই এই সন্দেহটা দানা পাকিয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার ইডির জেপুটি ডিরেক্টর সহ ২০ জন অফিসারের দল এসেছে রাজ্যে। সঙ্গে সঙ্গেই ইডি দপ্তরে শুরু হয়েছে চোখে পড়ার মতো তৎপরতা। সম্প্রতি এই জল্পনা আরও জোরাল হয়েছে ইডির কয়েকটি পদক্ষেপে। প্রথমত সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও ইডি কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ যাওয়া আটকে দিয়েছে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ৮ জুন ইডি রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমনও ধরিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই কয়লা কেলেঙ্কারি মামলার সূত্রে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককেও ১৯ জুন দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সম্প্রতি দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের শুনানিতেও ইডির আইনজীবী জানিয়েছিলেন, আগামী দিনে গরু পাচারের মামলায় ইডির তদন্তের তৎপরতা বাড়বে। ওই মামলায় আরও গ্রেপ্তার হবে।
ইডি দপ্তর সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে, এই প্রস্তুতি অকারণে নয়। আরও অফিসার আসার পরে শীঘ্রই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হতে পারে। পাশাপাশি রুজিরাকে জেরার বিষয়টিও রয়েছে। সম্প্রতি কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেপ্তার হওয়াটাকেও বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা। সুজয়কৃষ্ণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁকে হেপাজতে রেখে জেরা করছে সিবিআই। সেই জেরায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আগামী দিনে ইডি তাঁদের কর্মপদ্ধতি ঠিক করছে বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।