মোস্তাক মোরশেদ হোসেন, বীরপাড়া: শুধু রাজনীতি নয়, ইদের (Eid al-Fitr 2024) বাজারেও এখন ছেয়েছে ‘মোদি’ ও ‘যোগী।’ এগুলো আর কিছুই নয়, সেমাইয়ের (Shemai) দুই ধরন। সেমাইয়ের ‘উৎপত্তিস্থল’ এবং রংভেদে নামকরণ করা হয়েছে ‘মোদি’, ‘যোগী’! কেন? না, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বেনারস থেকে আনা হয়েছে উন্নতমানের সেমাই। যোগীরাজ্যের সেমাই! তাই ওই সেমাইয়ের নাম ‘যোগী’ সেমাই। কয়েক বছর ধরেই অবশ্য ওই সেমাই ইদের মুখে বেনারস থেকে বীরপাড়ায় নিয়ে আসেন ব্যবসায়ী মহম্মদ সফি সহ বেশ কয়েকজন। তবে এবছর বাজারে হাজির ‘মোদি’ সেমাই। কারণ ওই সেমাইয়ের রং পুরোদস্তুর গেরুয়া।
রাজনীতির বাজারে যোগীর চেয়ে এগিয়ে মোদি। কারণ, তিনি একাধারে দেশের প্রধানমন্ত্রী। আবার রাজনীতির ময়দানে যোগীর চেয়ে অভিজ্ঞতাও বেশি। তবে বুধবার বীরপাড়ায় ইদের বাজারে ‘মোদি’ সেমাইয়ের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিকোল ‘যোগী’ সেমাই। কেজি প্রতি ‘মোদি’ সেমাইয়ের দাম ১৫০ টাকা, ‘যোগী’ সেমাইয়ের ৩০০ টাকা। বীরপাড়ায় বুধবার জমে ওঠে ইদের বাজার। প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়েছে নানা ধরনের সেমাই। দেদার দরকষাকষি চলেছে। মহম্মদ আনারুল হক ‘মোদি’ সেমাই বিক্রি করেছেন ১২০ টাকা কেজি দরে। ‘তবে ওই সেমাইয়ে রংয়ের পরিমাণ বেশি’, বলেন আনারুল।
এদিকে, ‘যোগী’ সেমাই ঘিয়ে ভাজা। তাই সেটির দাম দ্বিগুণ, বলছেন ব্যবসায়ী মহম্মদ রিজওয়ান। তাঁর কথায়, ‘সচ্ছলরাই ঘিয়ে ভাজা সেমাইয়ের ক্রেতা।’ এদিন বীরপাড়ায় কলকাতা ও পাটনার সেমাই বিক্রি হয়েছে কমবেশি ২০০ টাকা কেজি দরে। কিশনগঞ্জের সেমাইয়ের দর ছিল ১৫০ টাকা কেজি। আবার মহম্মদ সফি বেনারসের সেমাই বিক্রি করেছেন ২৫০ টাকা কেজি দরে। বাজারে নামি কোম্পানির সেমাইও ছিল। তবে বাজারে একচেটিয়া ‘রাজ’ করেছে নন-ব্র্যান্ডেড সেমাই। সবচেয়ে বিক্রি হয়েছে লাড্ডু সেমাই। নাম লাড্ডু রাখা হয়েছে কারণ লাড্ডুর মতো প্যাঁচানো দলা করে রাখা হয় এই সেমাই। মিষ্টি দুধে দিলেই সেই একদলা হয়ে যায় ফুলেফেঁপে এক বাটি।