পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি: প্রথম দফার ভোটে (Lok sabha election 2024) নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বুধবার জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) বৈঠক করেন রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল শর্মা। এডিজি জেনারেল ও আইজিপি নোডাল অফিসার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের হিসেব দিয়েছেন। জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি, আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি এবং কোচবিহারে ১১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে ভোটের সময়। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে মোট ১৯২৫টি বুথের মধ্যে ১৯৮টি বুথকে ঝঁুকিপ্রবণ এবং ২৯৬টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুধবার জলপাইগুড়ির পূর্ত দপ্তরের পরিদর্শন বাংলোয় রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল শর্মা বৈঠক করেন জেলা শাসক ও জেলা নির্বাচন আধিকারিক শামা পারভিন ও পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত সহ অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে। মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাধিক পদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন অনিল। বুধবার বৈঠক শেষ করে তিনি দক্ষিণ বেরুবাড়ির বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শনে যান। তারপর আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) উদ্দেশে রওনা হন। এদিন বৈঠকে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বলেছেন, প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। লাইভ ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থাও করতে বলেছেন সব বুথে। এদিন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক মিডিয়ার সামনে মুখ খোলেননি।
জলপাইগুড়ি জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলা শাসক বলেন, ‘জেলায় সমস্ত বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। কিন্তু ৪৯৪টি ভালনারেবল ও ক্রিটিক্যাল বুথের বাইরে অন্য বুথগুলিতে কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে তা বলেননি। সমস্ত বুথে লাইভ ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। যদিও চা বাগান ও ভুটান সীমান্ত এবং বাংলাদেশ সীমান্তের ১৮টি বুথ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবার সমস্যা রয়েছে। তাই এই বুথগুলিকে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।’
এদিনের বৈঠকে জেলা শাসক, পুলিশ সুপার সহ লোকসভা কেন্দ্রের তিন পর্যবেক্ষক ডঃ সি শিবাশম্ভা রাও (পুলিশ), সুধাংশু মোহন শ্যামল (সাধারণ) এবং মদনমোহন মিনা (হিসেব), অতিরিক্ত জেলা শাসক ধীমান বাড়ই, তেজস্বী রানা, প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্য, পুষ্পক রায় ও অন্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।