নাগরাকাটা: একলব্য মডেল স্কুলে রাঁধুনি নিয়োগকে কেন্দ্র করে সপরিবারে অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য সরকারের কাছ থেকে রোল মডেলের খেতাবপ্রাপ্ত বিশেষভাবে সক্ষম যুবক রামসুরত মাঝি। শুক্রবার তিনি তাঁর বক্তব্য লিখিতভাবে নাগরাকাটার বিডিও অফিসে জানান।
রামসুরত জানান, ওই স্কুলে গত জানুয়ারি মাসে হস্টেলের পড়ুয়াদের রান্নার জন্য ৪ জন রাঁধুনি নিয়োগ করা হয়। এজন্য ইন্টারভিউও হয়েছিল। অনেকে ইন্টারভিউ দেন। পরে দেখা যায় যাঁরা সেখানে আগে থেকেই অস্থায়ী ভিত্তিতে রাঁধুনির কাজ করতেন তাঁদেরই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। বিডিও’র উদ্দেশ্যে রামসুরত যে দাবিপত্র পেশ করেছেন তাতে বলা হয়েছে, তাঁর স্ত্রী রঞ্জিতাও রাঁধুনির পদে আবেদন করেছিলেন। ইন্টারভিউও দেন। কবে ওই পদে নিয়োগ হয়ে গেল তাঁরা বুঝতেই পারেননি। সম্প্রতি খবর পান কয়েক মাস আগেই পুরোনো যাঁরা অস্থায়ী হিসেবে কাজ করতেন তাঁদেরই নেওয়া হয়েছে। তাহলে বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীদের প্রত্যাশার সঙ্গে খেলা কেন করা হল এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, তাহলে এতো মানুষকে নিয়ে লোক দেখানো ইন্টারভিউয়ের প্রয়োজন কি ছিল? এই বিষয়টি নিয়ে সরকারি স্তরে উপযুক্ত তদন্ত ও পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, ১৫ দিন অপেক্ষা করবেন। মীমাংসা না হলে এরপর ১১ অগাস্ট থেকে সপরিবারে বিডিও অফিসে এসে অনশনে বসবেন।
এদিকে একলব্য স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, অভিজ্ঞতার নিরিখে ওই নিয়োগ হয়। যাঁদের নেওয়া হয়েছে স্কুলের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রান্নাবান্নার অভিজ্ঞতায় তাঁদের সমকক্ষ আর কেউ ছিল না। এদিকে নাগরাকাটার একলব্য স্কুলে ল্যাবরেটরি অ্যাটেন্ডেন্ট পদের সাম্প্রতিক নিয়োগকে ঘিরেও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বেশকিছু প্রশ্ন তুলে ওই পদের আবেনকারী কয়েকজন এবিষয়ে সরব হয়েছেন। তাঁরা প্রশাসনের কাছেও নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছেন। এবিষয়ে নাগরাকাটার বিডিও বিপুলকুমার মণ্ডল বলেন, ‘নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও বিষয় আমাদের অফিস থেকে হয় না। ওই যুবকের বক্তব্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’