ইসলামাবাদ: তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর বিপাকে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সহ কোনওরকম রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান ইমরান খান। সে কথাই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করল পাক নির্বাচন কমিশন। এমনকি, পিটিআইয়ের সর্বোচ্চ পদে তাঁর বহাল থাকা নিয়েও অনিশ্চয়তা সৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।
ইমরানকে নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পাক নির্বাচন কমিশন। সেখানেই পাঁচ বছরের জন্য তিনি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না বলে স্পষ্ট করা হয়। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তির সাজা হলে তিনি সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জন্য ভোটে অংশ নিতে পারেন না।
শনিবার ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালতের তরফে তোষাখানা মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের জেলের সাজা শোনানো হয়। পাশাপাশি পাকিস্তানি মুদ্রায় এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়। এরপরই লাহোরের জামিন পার্কের বাড়ি থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনমাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তার হলেন ইমরান।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের মসনদে বসার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যান ইমরান। অভিযোগ, সেখান থেকে পাওয়া উপহার সামগ্রী সরকারি তোষাখানায় জমা না করে কোটি কোটি টাকায় বাইরে বিক্রি করেছেন ইমরান। গত বছর ইমরানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ী। যদিও প্রথম থেকেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।