উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার পর এই প্রথম সংসদের ভেতরে বক্তব্য রাখলেন রাহুল গান্ধি। তবে প্রথম দিনই অযাচিত বিতর্কে জড়ালেন তিনি। অনাস্থা বিতর্কে বক্তৃতা শেষ করেই সংসদ ছেড়ে বেরিয়ে যান রাহুল। সেই সময় তিনি বিজেপি সাংসদদের উদ্দেশ্যে ‘ফ্লাইং কিস’ দেন অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। রাহুলের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে এই অভিযোগ করেন স্মৃতি। তাঁর মতে, দেশের সংসদে এই ধরণের আচরণ আগে কখনও দেখা যায়নি। এ নিয়ে রাহুল গান্ধিকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলেও আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
তবে রাহুল ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়েছেন, এমন কিছু সংসদের বিতর্কের সরাসরি সম্প্রচারে দেখা যায়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেরই বক্তব্য, সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রাহুলের হাতে থাকা কিছু নথিপত্র মেঝেতে পড়ে যায়। তা দেখে সরকার পক্ষের অনেকে হাসতে শুরু করেন। রাহুল নথিপত্র কুড়িয়ে নেওয়ার সময়েই নাকি ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে ‘ফ্লাইং কিস’ ছোড়ার ভঙ্গি করেছেন। ট্রেজারি বেঞ্চে যেহেতু বিজেপির মহিলা সাংসদেরাও ছিলেন, তাই তাঁরা সদলবলে রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে স্পিকারের ঘরে যান।
স্মৃতি ইরানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনেকেরই মনে পড়ে গিয়েছে রাহুল গান্ধির ‘চোখ মারা’ কাণ্ডের কথা। ২০১৮ সালে আর এক অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কের সময়ই প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আলিঙ্গন করেছিলেন এবং তারপর সতীর্থ সাংসদদের প্রতি চোখ টিপেছিলেন।
বক্তৃতা দেওয়ার সময় স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘আমি একটি বিষয়ে আপত্তি জানাচ্ছি। যাঁকে আমার আগে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তিনি সংসদ থেকে চলে যাওয়ার আগে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছেন। শুধুমাত্র কোনও নারী বিদ্বেষী ব্যক্তিই সংসদের মহিলা সদস্যরা থাকাকালীন, তাঁদের আসনের দিকে ‘ফ্লাইং কিস’ দিতে পারেন। এমন অসম্মানজনক আচরণ এর আগে দেশের সংসদে কখনও দেখা যায়নি।’