নিশিগঞ্জ: এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গজরাজের দল। শুক্রবার দলছুট হাতির সামনে পড়ে প্রাণ গেল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম, বুধেশ্বর অধিকারী (৬৫)। মাথাভাঙ্গা ২ এর পারডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের টাউরিকাটা এলাকার বাসিন্দা তিনি। জানা গিয়েছে, জমিতে ঘাস কাটতে গিয়ে দাঁতালের সামনে পড়ে যান বুধেশ্বরবাবু। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে নিশিগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই ভানুরকুঠি এলাকায় জমিতে কাজ করার সময় হাতির সামনে পড়ে মৃত্যু হয় আনন্দ প্রামাণিক (৬১)-এর।
এদিন সকালে শীতলকুচি থেকে মানসাই নদী পার হয়ে ছয়টি হাতি নিশিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঢুকে যায়। হাতির দলকে প্রথমে দেখা যায় শীতলকুচি ব্লকের সর্বেশ্বর জয়দুয়ার এলাকায়। সেখানে এক কৃষক হাতির সামনে পড়ে গুরুতর জখম হন। তাঁকে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মানসাই নদী পার হয়ে নিশিগঞ্জ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় চকিয়ারছড়া, কোদালধোয়া, ভোজনেরছড়া, সোনিয়ারবাথান, রুনিবাড়ি এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। শিবপুরে ধরলা হয়ে হাতির দল তেকোনিয়া বনাঞ্চল এলাকায় চলে আসে। এরপর মানসাই নদীর চর এলাকায় চারটি হাতি ও বাকি দুটি চকিয়ারছড়া খয়েরবনে আশ্রয় নেয়।
সেখান থেকে এই মুহূর্তে পাঁচটি হাতি রয়েছে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের উনিশবিশা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বাকি একটি হাতির খোঁজ মিলছে না বলে জানিয়েছে বন দপ্তর। বনকর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। এদিকে হাতির হানায় আহত হয়েছেন একজন বনকর্মীও। তাঁকে প্রথমে ঘোকসাডাঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিনহাটার মাতালহাট এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় ৬টি হাতির দল। বনকর্মীরা দীর্ঘ চেষ্টার পরও তাদের জঙ্গলে ফেরাতে পারেননি।