নাগরাকাটা: র্যাশন দোকানের আটা সহ কয়েক বস্তা চাল সাবাড় করে চম্পট দিল দলছুট দাঁতাল। লুকসান চা বাগানের ঘটনা। এই নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের পরিচালিত ওই র্যাশন দোকানটিতে লাগাতার চারবার হাতির হামলার ঘটনা ঘটল। এতে বিপাকে পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বন দপ্তর জানাচ্ছে, হাতির পালের গতিবিধির প্রতি সতর্ক নজর রেখে চলা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, দলছুট হাতিটি র্যাশন দোকানের পেছনের জানালা ভেঙে প্রথমে চালের কয়েকটি বস্তা ও পরে একে একে ১০ বস্তা আটা শুঁড়ে তুলে বের করে। সেখানেই দাঁড়িয়ে সাবাড় করে। ফেরার সময় আবার এক বস্তা শুঁড়ে উঁচিয়ে নিয়েও যায়। যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীটি ওই র্যাশন দোকান চালায় সেই গীতাঞ্জলি গোষ্ঠীর এক কর্ত্রী রূপা শা বলেন, ‘এই নিয়ে চারবার হাতির হামলা হল। কোনওবারই ক্ষতিপূরণ বলতে কিছু মেলেনি। এভাবে র্যাশন দোকান চালানোই দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বন দপ্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, বর্তমানে হাতির একাধিক দল ডায়নার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লুকসান, ধরণিপুর, গাঠিয়া, ভগতপুরের মতো চা বাগান সহ ভুট্টাবাড়ি বস্তি, লালঝামেলা বস্তি, ঘাসমারি বস্তির মতো বিস্তীর্ণ এলাকায় হানা দিচ্ছে। সন্ধ্যে ঘনালেই কার্যত হাতির মুক্তাঞ্চল হয়ে যাচ্ছে ডায়না রেঞ্জের আওতাধীন এলাকাগুলি। ডায়না রেঞ্জের কর্মীরা সাধ্যমতো হাতি তাড়ানোর কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন। একসঙ্গে একাধিক স্থানে হাতি ঢুকে পড়ায় ওই রেঞ্জের কর্মীদের পক্ষে সমস্ত হাতি তাড়ানো কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নাগরাকাটা ব্লক কমিটির সহ সভাপতি ও ভুট্টাবাড়ি বস্তির বাসিন্দা কাজী পান্ডে বলেন, ‘বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়া স্কোয়াডও যাতে যৌথভাবে লাগাতার ডায়না রেঞ্জের সঙ্গে হাতি নিয়ন্ত্রণে জোর দেয় সেই দাবি বহুবার জানানো হয়েছে। নয়তো যে কোনও সময় বড়সড়ো বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।’