নাগরাকাটা: দুর্গাপুজো পেরিয়ে কালীপুজোও আসন্ন। তবুও ডুয়ার্সের চা বাগানে বোনাস বিক্ষোভ অব্যাহত। সোমবার কাজ বন্ধ করে বোনাসের দাবিতে ফ্যাক্টরির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন লুকসান চা বাগানের অস্থায়ী শ্রমিকরা। যাঁরা চা বাগানে বিঘা শ্রমিক হিসেবে পরিচিত। অস্থায়ীদের বিক্ষোভকে সমর্থন করেছে ওই বাগানটির সিপিএম, বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের তিনটি শ্রমিক সংগঠনই। লুকসানের ফ্যাক্টরি ম্যানেজার অরবিন্দ কুমার সিং অবশ্য জানান, কিছু কারণে বিঘা শ্রমিকদের একাংশের বোনাস দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বুধবারের মধ্যে তা দিয়ে দেওয়া হবে।
লুকসান চা বাগানে এবার ১৯ শতাংশ হারের বোনাস রফা হয়। সেখানকার স্থায়ী শ্রমিকরা পুজোর আগেই টাকা পেয়ে যান। তবে সমস্যা তৈরি হয়েছে অস্থায়ীদের নিয়ে। সেখানে প্রায় পাঁচশো অস্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন। এদিনের বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বিঘাদের মধ্যে মাত্র ৩০-৩৫ জন বোনাস পেয়েছেন। বাকিদের ক্ষেত্রে শুধু তারিখ দেওয়া হচ্ছে। টাকা নয়। এদিন সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ওই শ্রমিকরা ফ্যাক্টরির সামনে ক্ষোভ দেখান।
বোনাসের পাশাপাশি অস্থায়ী শ্রমিকদের তরফে এদিন কয়েক বছর ধরে তাঁদের ছাতা, জুতো, ত্রিপলের মতো কাজের সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তোলা হয়। উঠে আসে ডাবলি ও সাল ছুটির প্রসঙ্গও। এক অস্থায়ী শ্রমিক বলেন, ‘স্থায়ী শ্রমিকদের মতো আমরাও ঘাম ঝরিয়ে বাগানের জন্য কাজ করি। তবে বোনাস প্রদানের ক্ষেত্রে এমন বৈষম্য কেন। দ্রুত টাকা না মিললে আরও বড় আন্দোলনে নামা হবে।’ লুকসান চা বাগানের একটি শ্রমিক সংগঠন চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের নেতা দিলরাজ সুব্বা বলেন, ‘অস্থায়ী শ্রমিকদের দাবি অত্যন্ত ন্যায্য। ওঁদের সঙ্গে সংগঠনভাবে পাশে রয়েছি। বাগান পরিচালকদের এই অন্যায় মেনে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।’