নাগরাকাটা: চা বাগানের ছায়া গাছেও এখন নজর পড়েছে হাতির পালের। টানা কয়েকদিন ধরেই এমনটা চলছে। তবে সোমবার গভীর রাতের ক্ষয়ক্ষতির বহর সবচেয়ে বেশি। গোটা বাগান দাপিয়ে বেড়িয়ে একশোরও বেশি ছায়াগাছ তছনছ করে দিয়েছে বুনোদের দলটি। সঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে নার্সারির কয়েকশো চা গাছের চারা। হামলার হাত থেকে বাদ যায়নি বগানের পতিত জমিতে লাগানো বড় হয়ে যাওয়া ৩৫টি সেগুন গাছ।
ঘটনাটি ভুটান সীমান্ত ঘেষা লুকসান চা বাগানের। সব মিলিয়ে এখন মাথায় হাত সেখানকার পরিচালকদের। ম্যানেজার সত্যনারায়ণ শা বলেন, ‘আগে ছায়াগাছে কিছু করত না। এখন দেখা যাচ্ছে মূল টার্গেট হয়ে গিয়েছে সেগুলিই। ক্ষয়ক্ষতির অঙ্ক হিসেব কষে বলা সম্ভব নয়। বন দপ্তরকে সব কিছু জানানো হয়েছে। আমরা অসহায় বোধ করছি।’ বন দপ্তরের ডায়নার রেঞ্জার অশেষ পাল বলেন, ‘হাতির পালের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে বনকর্মীদের প্রচেষ্টায় কোনও খামতি নেই।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রেই জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই সন্ধ্যে ঘনালেই অন্তত ৪০টি হাতির একটি পাল ডায়নার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লুকসান চা বাগানে ঢুকে পড়ছে। দলটিতে বেশ কয়েকটি শাবকও রয়েছে। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে কখনও গ্রাসমোড় চা বাগানের ৪ নম্বর গেট দিয়ে ওই বাগানে যাচ্ছে। আবার কখনও রুট হিসেবে বেছে নিচ্ছে ধরণিপুর চা বাগানকে। দু’টি ক্ষেত্রেই হাতির দলটিকে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ও রেললাইন টপকাতে হচ্ছে। ফলে উদ্বেগের অন্ত নেই বন দপ্তরেরও।