রাঙ্গালিবাজনা: শনিবার ভোররাতে আলিপুরদুয়ার ফালাকাটার দেওগাঁওয়ে বিদ্যুতের শক দিয়েই ‘খুন’ করা হয়েছিল মাকনা হাতিটিকে। রবিবার হাতিটির দেহ ময়নাতদন্তের পর একথা নিশ্চিত করেন জলদাপাড়ার সহকারী বন্যপ্রাণী সংরক্ষক নভোজিৎ দে। তিনি জানান, ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৪-৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
হাতির হানা রুখতে বিদ্যুতের তারের বেড়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে উত্তরবঙ্গের অ্যান্টি ইলেকট্রিকিউশন সেলগুলির প্রচারাভিযান এমনকি হাতি মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতের সাজা ঘোষণার পরও বিদ্যুতের তারের বেড়া ব্যবহারের প্রবণতা কমছে না। ২০২০ সালের ২০ জুলাই রাতে রামঝোরায় বিদ্যুতের বেড়ার সংস্পর্শে ১৩ বছর বয়সি একটি দাঁতালের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত ফিলিপ খালকোকে ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আলিপুরদুয়ার এসিজেএম-২ আদালত। ডুয়ার্সে এরপরও গ্রামবাসীদের লাগানো বিদ্যুতের তারের বেড়ার সংস্পর্শে একাধিক হাতির মৃত্যু হচ্ছে।
গত বছরও আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনির বিজয়পুর বনবস্তিতে বিদ্যুতের তারের বেড়ার সংস্পর্শে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছিল। এবছরের ২১ অগাস্ট কালচিনির মণ্ডলপাড়ায় একইভাবে আরও একটি হাতির মৃত্যু হয়। বীরপাড়া লাগোয়া দেবীশিমূলে ২০১৬ সালের ১৮ জুন ও ২০১৭ সালের ২৪ মে বিদ্যুতবাহী তারের বেড়ার সংস্পর্শে মৃত্যু হয়েছিল একটি করে মাকনা হাতির। বিদ্যুতের তারের বেড়ার ফাঁদে হাতির মৃত্যু হচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলাতেও। ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর মালবাজারের বিদ্যুতের তারের বেড়ার সংস্পর্শে এলেনবাড়ির সুন্দরীবস্তিতে মারা যায় একটি হাতি। ২০২০ সালের অগাস্ট মাসে জলপাইগুড়ি বানারহাট এলাকায় একটি, ২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর মোরাঘাটের ভান্ডারকুড়া এলাকায় একটি এবং ১৬ নভেম্বর মঙ্গলকাটা এলাকায় এভাবেই বিদ্যুতবাহী তারের সংস্পর্শে একটি করে হাতির মৃত্যু হয়েছিল।