চাঁচল: এখনও ১২ দিনের অপেক্ষা। শুরু হয়ে গেছে দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন। তবে চাঁচলের পাহাড়পুরে রবিবার থেকেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। প্রথা এবং ঐতিহ্য মেনেই কৃষ্ণনবমীর সকালে মরা মহানন্দার সতীঘাটে ঘট ভরে পুজো শুরু হয়ে গেল পাহাড়পুর চণ্ডীমণ্ডপে। ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে চাঁচলের রাজা রামচন্দ্র রায় চৌধুরীর হাত ধরে শুরু হয় এই পুজো। প্রায় ৩৫০ বছরেরও বেশি প্রাচীন এই পুজো চাঁচলে রাজার পুজো হিসেবেই খ্যাত।
কথিত আছে, রাজা রামচন্দ্র দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে মহানন্দার সতীঘাট থেকে অষ্টধাতুর মা চণ্ডীর একটি চতুর্ভুজা মূর্তি নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করেন। রাজ পরিবারের এক মহিলা সেখানে সতী হয়েছিল বলেই সেটি সতীঘাট নামে পরিচিত। প্রথমে যেখানে খড়ের ছাউনি ছিল পরবর্তীতে রাজা শরৎচন্দ্র রায় চৌধুরী সেখানে একটি পাকা দুর্গা দালান তৈরি করেন। যেটি পাহাড়পুর চণ্ডীমণ্ডপ নামে পরিচিত। রাজা নেই, নেই রাজ্যপাট। এই মুহূর্তে এই পুজো স্থানীয় লোকজনই পরিচালনা করেন। তবে রাজার পুজোতে রাজ আমল থেকে চলে আসা সমস্ত নিয়ম এখনও পালন করা হয়। এদিন সকালে মঙ্গল ঘট ভরে এনে শুরু হয় পুজো। কৃষ্ণনবমীর দিন থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত হবে ঘট পুজো এবং চণ্ডীপাঠ। সপ্তমীর দিন চাঁচল রাজার ঠাকুরবাড়ি থেকে দেবী চণ্ডীর অষ্টধাতুর বিগ্রহ আনা হয় মন্দিরে। এদিন পুজো শুরু হতেই পাহাড়পুর জুড়ে যেন উৎসবের আমেজ। প্রথম দিন থেকেই ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা।
পুজোর পুরোহিত অচিন্ত্যকুমার মিশ্র বলেন, ‘আজ থেকে পুজো শুরু হল। দশমী পর্যন্ত চলবে। এখানে দেবী দশভূজা নয় চতুর্ভূজা। চণ্ডী রূপে পূজিত হন দেবী। ষষ্ঠী অবধি ঘট পুজো হবে। সপ্তমীর দিন থেকে অষ্টধাতুর বিগ্রহ এবং মাটির প্রতিমার পুজো হবে।‘