উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: যদি ভোটের সময় এলাকায় হাতি ঢুকে পড়ে এই আশঙ্কা থেকে সব ধরনের আয়োজন রেখেছিল বন দপ্তর। তবুও শনিবার সকাল সকাল বনকর্মীদের নজর এড়িয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের কাছে পৌঁছল একটি দাঁতাল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল ঝাড়গ্রামের জিতুশোলে।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে এই মুহূর্তে রয়েছে ৭৩টি হাতি। ঝাড়গ্রাম লাগোয়া খড়গপুর ডিভিশনে রয়েছে ২২টি হাতি। অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম লাগোয়া মেদিনীপুরের জঙ্গলেও রয়েছে হাতি। এই কারণেই ঝাড়গ্রাম ডিভিশনের ১৪০ টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছিল বন দপ্তর। হাতি তাড়াতে হুলা পার্টি সহ সব ধরনের আয়োজন করা হয়েছিল। যাতে হাতির হানায় ভোটারদের কোনও ক্ষতি না হয়। এদিন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের কাছে হাতিটি পৌঁছতেই খবর দেওয়া হয় হুলাপার্টিকে। তাঁরা দাঁতালটিকে ফের জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, গ্রামবাসীরা বলেন, একসময গুলি-বারুদের গন্ধ মিশে থাকত জঙ্গল মহলের বাতাসে। ২০১২ সালে জামবনির বুড়িশোল জঙ্গলে যৌথবাহিনীর সংঘর্ষে মাও নেতা মাল্লেজুল্লা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির মৃত্যুর পর মাও প্রভাব কমেছে। সেই জায়গায় নতুন করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে হাতি।