বাগডোগরাঃ কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছিল দুটি হাতি। পরে সেগুলোকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে ভারতের বনকর্মীরা। এদেশে ফিরিয়ে আনা হলেও কিছুতেই জঙ্গলে ফেরানো যাচ্ছিল না হাতিদুটিকে। অবশেষে শুক্রবার ঘুম পাড়ানি গুলি দিয়ে কাবু করে ক্রেনের সাহায্যে তুলে নিয়ে গিয়ে ছাড়া হয় সুকনা জঙ্গলে। দাঁতাল এবং মাকনা দু’টি হাতিই বর্তমানে সুস্থ আছে। ঘুমের ঘোর কেটে গিয়েছে। বনের ঘাস পাতা লতা গুল্ম খেয়ে সুকনা জঙ্গলে বহাল তবিয়তেই আছে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর। মাকনা হাতিটি অভয়ারণ্যের গভীরে না গেলেও দাঁতালটি চলে গিয়েছে গভীর অরন্যে। ২৪ ঘন্টা হাতিদুটির ওপর নজর রাখছেন বনকর্মীরা। হাতিদুটি সুস্থ আছে, এবং স্বাভাবিক আচরণ করছে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
সুকনা বন্যপ্রাণী বিভাগের এডিএফও সন্তু দাস জানান, মাকনা ও দাঁতাল হাতি দুটির ঘুমের ঘোর কেটেছে। জঙ্গলে স্বাভাবিক আচরণ করছে। ঘুমপাড়ানি গুলি করার পর জঙ্গলে ফেরানোর পথে অ্যান্টি ডোজ দেওয়া হয় ঘুমের ঘোর কাটানের জন্য।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হস্তিযুগল কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে ঢুকে পড়েছিল বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ার দক্ষিণ কাশেমগঞ্জ এলাকায়। এরপরই ভারতের বনকর্মীরা সেদেশে ঢুকে হাতি দুটিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে এপারে। শুক্রবার ভোরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ফাঁসিদেওয়ার বন্দরগছ এলাকার কাঁটাতার বেড়ার ওপারে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে জঙ্গলে ফেরানো সম্ভব নয় দেখে গরুমারা থেকে আনা হয় দুটি কুনকি হাতি। তাদের সাহায্যে বনকর্মীরা হাতিদুটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করে ক্রেনের সাহায্যে ট্রাকে তুলে আনা হয় সুকনা বন্যপ্রাণ শাখায়। সেখান থেকেই বনকর্মীরা সহজেই জঙ্গলে ফেরায় হাতি দুটিকে।