নাগরাকাটা: ট্রেন চালকের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল হাতি। বুধবার সন্ধ্যায় গুলমা ও সেবক স্টেশনের মাঝে মহানন্দা অভয়ারণ্যের বুক চিরে চলে যাওয়া রেললাইনের ওপর দিয়ে জরুরিকালীন ব্রেক কষে হাতির প্রাণ বাঁচালেন দুই ট্রেন চালক। ওই রুটে সেই সময় শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ার জংশনগামী আপ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস আসছিল। দূর থেকে বিশাল একটি হাতির এমন গতিবিধি দেখে সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষেন লোকো পাইলট কে কে গুপ্তা ও অ্যাসিট্যান্ট লোকো পাইলট এস গরাই। মাকনা হাতিটি জঙ্গলে ঢুকে গেছে এমনটা নিশ্চিত হওয়ার পরই তাঁরা ফের নির্দিষ্ট গতিবেগে গন্তব্যের দিকে রওনা দেন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর সেবকের টানেলের সামনে রেললাইনের ওপর দিয়ে দুলকি চালে হেঁটে যাওয়া একটি দাঁতালকে নিরাপদে পার হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন ধুবুরি-শিলিগুড়ি ডিএমইউ এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট শঙ্কর কুমার ও অ্যাসিট্যান্ট লোকো পাইলট দীপক কুমার। এই নিয়ে গত সাড়ে ৩ মাসে সতর্ক রেল অন্তত ৪০-৫০ বার হাতিদের সুরক্ষিত রাখতে পেরেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার অমরজিত গৌতম বলেন, বুনোদের রক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জঙ্গলের পথে নিয়ন্ত্রিত গতিবেগের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ট্রেন চালকদের এব্যাপারে সতেচন রাখার প্রক্রিয়া জারি আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে।