উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরের পরেই আরও বেশি করে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে আগ্রহী আমেরিকা। শুক্রবার দুপুরে নয়াদিল্লির হেইলি রোডে স্থিত বঙ্গভবনে হাজির হয়ে এমনটাই জানালেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতেই এই উদ্যোগ বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, এদিন ভবন ছাড়ার আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বঙ্গভবন কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন গারসেটি। খুব শিগগিরই তিনি কলকাতা সফরেও আসছেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিন দুপুরে আচমকাই সদলবলে নয়াদিল্লির হেইলি রোডে স্থিত বঙ্গভবনে হাজির হন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। এদিন বঙ্গভবনের রেস্টুরেন্টে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। গারসেটিকে পুষ্পস্তবক দিয়ে অভ্যর্থনা জানান নয়াদিল্লি স্থিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রেসিডেন্ট কমিশনার উজ্জ্বয়িনী দত্ত ও ডেপুটি রেসিডেন্ট কমিশনার শাশ্বত দাঁ। ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ নয়াদিল্লির মার্কিন দূতাবাসের প্রশাসনিক প্রধানের পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ‘খাদ্যরসিক’ গারসেটি দিল্লির বিভিন্ন রাজ্যভবনগুলি পরিদর্শন করার পাশাপাশি সেই রাজ্যের সুস্বাদু আঞ্চলিক খাদ্য খেয়ে বেড়াচ্ছেন। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের খাদ্যসংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করা তাঁর অন্যতম প্রধান শখ বলে জানা গিয়েছে।
এদিন গারসেটির রসনাতৃপ্তির আয়োজনে পরিবেশন করা হয় অথেনটিক বাঙালি খাবার। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের জন্য রান্নার দায়িত্বে ছিলেন বাঙালি শেফ সমর মুখোপাধ্যায়। বঙ্গভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে প্রথমে তাঁকে দেওয়া হয় আমপান্না, ফিস ফ্রাই, কলার মালপোয়া। তারপর মেন কোর্সে কাঁচা কলা দিয়ে সুক্তো, মোচা ঘণ্ট, থোরের চাপর ঘণ্ট, কাতল কালিয়া, ভেটকি পাতুরি, মটন কষা, আমের চাটনি, রসগোল্লা, কলার মালপোয়া ও মিষ্টি দই। শুধু তাই নয়, প্রতিটি খাবারের নেপথ্য কাহিনী, ইতিহাস ও গুণাগুন জানতে চান গারসেটি। বাঙালি সংস্কৃতিতে কলার উপযোগিতা নিয়ে ব্রিফ করা হয় বঙ্গভবন থেকে। এছাড়াও ছিল সন্দেশ, লুচি ও অন্যান্য বাঙালি খাবার। মূলত কলার বিভিন্ন পদের ওপর নজর দিয়েই কাসার থালা ও বাটিতে সাজানো হয়েছে খাবার। এও জানা গিয়েছে, বাঙালি পদ খেয়ে প্রশংসাও করেন তিনি। শুনেছেন রবীন্দ্রসংগীত- ‘আমার সোনার বাংলা।’ তাঁর সবথেকে ভালো লেগেছে কলা ভাজা আর ভেটকি মাছের পাতুরি। খাবারের পেছনের গল্পও ভালো লেগেছে তাঁর।