প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান: ঝোপ থেকে উদ্ধার হল ব্যালট। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ঘটনা। শনিবার ভাতারের ভোটকেন্দ্রের পেছনে ঝোপ থেকে বেশকিছু ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়। সিপিএমের দাবি, উদ্ধার হওয়া ব্যালটে তাদের প্রতীকে ভোট দেওয়া রয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। সিপিএম নেতৃত্ব এই ঘটনাকে ভোট লুটের নিদর্শন বলে দাবি করলেও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সব মিথ্যা অভিযোগ।
ভাতার থানার সাহেবগঞ্জ ২ নম্বর পঞ্চায়েতের আয়মাপাড়া গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে ঝোপজঙ্গলের মধ্যে এদিন বেশকিছু ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেন কয়েকজন কৃষক। সেগুলি গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের পৃথক পৃথক ব্যালট। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। সিপিএমের দাবি, সমস্ত ব্যালটে তাদের প্রতীকেই ছাপ রয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, শাসকদল ওই ব্যালটগুলি সরিয়ে দিয়েছিল।
ভাতারের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কথা অনুযায়ী, আয়মাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাহেবগঞ্জ ২ পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর সংসদের ১৬৭ নম্বর বুথের ভোটগ্রহণ হয়েছিল। এই বুথে গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন জোৎস্না বেগম। সিপিএমের প্রার্থী হাসনাবিবি শেখ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বুথে মোট ভোটার ৮৪৯ জন। তার মধ্যে ভোট পড়েছিল ৫২০টি। ভোট বাতিল হয় ৩৫টি। ফলাফলে দেখা যায়, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জোৎস্না বেগম পেয়েছেন ৩৪৫টি ভোট। সিপিএমের প্রার্থী হাসনাবিবি পেয়েছেন ১৪০টি ভোট। অর্থাৎ ফলাফলের নিরিখে ২০৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।
ভাতারের সিপিএম নেতা বামাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওই বুথে তৃণমূল প্রচুর ভোটে হারত।পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তারা গণনাকেন্দ্রে থেকে আমাদের কর্মীদের বের করে দিয়ে জিতেছে। এই ব্যালট তারই প্রমাণ। ভোটের দিন আয়মাপাড়া গ্রামের বুথে আমাদের কাউন্টিং এজেন্টকে ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পর মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের দলের প্রতীকে ছাপ দেওয়া ব্যালট উদ্ধারের ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে ব্যালট লুট করেই তৃণমূল জয় সুনিশ্চিত করেছে।’ যদিও রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘নির্বাচনে হেরে গিয়ে সিপিএম মিথ্যা প্রচার করছে।’