শিলিগুড়ি: পুনর্মিলন। এই শব্দটার গায়ে মেখে রয়েছে একরাশ আবেগ, আর হ্যাঁ, অনেকটাই নস্টালজিয়া। কথাটা যে মোটেই ফেলনা নয়, উত্তরবঙ্গ সংবাদের আয়োজনে প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন কর্মীদের নিয়ে পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে সেটা পরতে পরতে উপলব্ধি করা গেল। রবিবার এমনই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল উত্তরবঙ্গের আত্মার আত্মীয় উত্তরবঙ্গ সংবাদ। এমন আয়োজন আগে কেউ কোথাও করেছে কিনা তা শোনা যায়নি। এদিন প্রাণের প্রতিষ্ঠানের ডাকে এই পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নবেন্দু গুহ, হারাধন পাল, সঞ্জয় চক্রবর্তী, মহম্মদ মুন্না, ইন্দ্রজিত সাহা, রবীন্দ্রনাথ বসু, শম্পা ঢালি চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল দত্ত, বীরেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়রা। অসুস্থ শরীরেও প্রতিষ্ঠানের ডাক এড়াতে পারেননি তুষারকান্তি বিশ্বাস। তাঁদের কারও বয়স ষাট ছুঁয়েছে। কারও সত্তর। তবে মোহন কর্মকার বা শুভঙ্কর সরকার তুলনায় অনেকটাই তরুণ।
বয়সটা যাই হোক না কেন, কোথায় যেন আবেগের সুরটা মিলে গিয়েছিল সকলেরই। উত্তরবঙ্গ সংবাদের সম্পাদক সব্যসাচী তালুকদারের সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু। সংবাদপত্রের শুরুর কথা বলতে গিয়ে তিনিও আবেগপ্রবণ। এরপর কৌশিক চট্টোপাধ্যায়ের গান শেষ হতেই একে একে মাইক্রোফোন হাতে প্রত্যেকেই খুলে বসেছিলেন স্মৃতির ঝাঁপি। ফিরে গিয়েছিলেন কর্মজীবনের সেই শুরুর দিনগুলোতে। মধ্যাহ্নভোজের পর অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে প্রাক্তনীদের হাতে স্মারক ও উপহার তুলে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে জেনারেল ম্যানেজার প্রলয়কান্তি চক্রবর্তীর স্বরচিত কবিতাপাঠ ও গৌরী মিত্রের গানেই হল মধুরেণ সমাপয়েৎ।