উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটালঃ রবিবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাওয়ার পথে পুলিশ পথ আটকেছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির (Fact finding team) প্রতিনিধিদের। সেখান থেকে ফিরে তাঁরা দ্বারস্থ হন রাজ্যপালের। এদিন সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (C V Ananda Bose) কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। বাংলায় রাষ্ট্রপতি সুপারিশ জানায় দিল্লির টিম। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল।
সন্দেশখালির ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শনিবার বিকেলে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। দলের প্রতিনিধিরা শনিবার সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য হোটেল থেকে বেরোলে ভোজেরহাটে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। রবিবার ফের সন্দেশখালি যেতে চায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কিন্তু এবারও তাঁদের সঙ্গে বচসা বাঁধে পুলিশের এবং ভোজেরহাটেই আটকে দেয় পুলিশ। আটক করা হয় এই টিমের সদস্যদের। এরপরই এদিন সন্ধে রাজভবনে যান তাঁরা।
রাজভবন সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যপালকে দেওয়া ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির চিঠিতে বলা হয়েছে, আইনের শাসন লঙ্ঘিত সন্দেশখালিতে। সাধারণ নির্দোষ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাই রাজ্যপালকে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার ডিজির কাছে এই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল।
জানা গিয়েছে, এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির দলে রয়েছেন পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিমহা রেড্ডি থেকে শুরু করে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার, আইনজীবী-সহ ৬ জন সদস্য। রবিবার ভোজেরহাট হয়ে সন্দেশখালি আসছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিল কলকাতা পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। বেশ কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি আছে, এই যুক্তিতে এদিন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সন্দেশখালি যেতে বাধা দেয় পুলিশ।