উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইডি অফিসার (Fake ED Officer) পরিচয় দিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিল এক যুবক। বুধবার ছিল বিয়ে। বিয়ের একদিন আগেই মেয়ের বাড়ির লোকেরা জানতে পারেন হবু জামাই ইডিতে চাকরি করেন না। আর এরপরই যুবককে পাকড়াও করে সোজা নিয়ে আসে ইডির দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্সের (CGO Complex) সামনে। শুরু হয় গণধোলাই। যদিও অভিযুক্ত যুবকের দাবি, ইডির ভুয়ো আইডি কার্ড জোর করে গলায় ঝুলিয়ে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে পেটানো হচ্ছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
মঙ্গলবার দুপুরে একদল উত্তেজিত জনতা এক যুবককে ধরে আনেন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অফিসের সামনে। যুবকের হাত বাঁধা দড়ি দিয়ে। গলায় ঝুলছে একটা আইকার্ড। সেখানে ইডির লোগো বসানো। পরিচয় পত্রে আবার লেখাও রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই ব্যক্তির নাম প্রদীপ সাহা। সোনারপুরের বাসিন্দা। উত্তেজিত জনতার দাবি, ভুয়ো ইডি অফিসার পরিচয়ে বিয়ে করতে চাইছিল বিরাটির বাসিন্দা এক যুবতীকে। আগামীকাল বিয়ের দিন। বিয়ের কার্ড ছাপানো থেকে শুরু করে লোকজন নিমন্ত্রণ সবই হয়ে গিয়েছে। শেষ মুহূর্তে তাঁরা জানতে পারেন, এই ব্যক্তি ভুয়ো ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিল। আর তাই দড়ি দিয়ে বেঁধে ওই যুবককে তাঁরা নিয়ে এসেছেন ইডির অফিসের সামনে।
পরিবারের অভিযোগ, যুবতীর সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ জমায় প্রদীপ সাহা। নিজের পরিচয় দেয় একজন ইডির অফিসার হিসেবে। আলাপ জমতেই যুবতীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। রাজি হয়ে গিয়েছিল যুবতীর বাড়ির লোকজনও। এমনকী বিয়ের কার্ড ছাপিয়ে সব বন্দোবস্তও করা হয়ে যায়। আগামিকালই বিয়ের দিন। পরবর্তীতে তাঁরা জানতে পারেন প্রদীপ সাহা নামে কেউ ইডি দপ্তরে চাকরি করেন না। এরপরই যুবককে পাকড়াও করে হাত বেঁধে নিয়ে আসেন সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে। যুবকের ওপর শুরু হয় উত্তেজিত জনতার গণপ্রহার। এদিন ধৃতের হেপাজত থেকে পাওয়া যায় আরও একটি পরিচয় পত্র। সেখানে পরিচয়ে দেখা যাচ্ছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল সেলের অফিসার। এভাবেই লোক ঠকানোর কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন যুবক, অভিযোগ যুবতীর পরিবারের।
যদিও যুবকের দাবি, তিনি কিছু করেননি। তাঁকে লোকজন মেরে এখানে নিয়ে এসেছে। ইডির ওই ভুয়ো আইডি কার্ডটি তাঁর নয়। জোর করে তাঁর গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে দেখে সেখানে কর্তব্যরত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানও এগিয়ে আসেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত যুবতীর পরিবারের লোকেরা থানায় কোনও অভিযোগ জানাননি।