রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাটা এন্ট্রির চাকরির নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের নাম করে চাকরির টোপ দিয়ে কয়েক দফায় ১৭ হাজার ২০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রথম সিমেস্টারের এক ছাত্রীর থেকে। বারবার টাকা ফেরতের দাবি জানালেও তা আর ফেরত দেওয়া হয়নি। এরপরই বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারস্থ হয় প্রতারিত ছাত্রী।
জানা গিয়েছে, প্রথম সিমেস্টারের ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাটা এন্ট্রির পদে চাকরি দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। দফায় দফায় তাঁর থেকে টাকা নেয় তিলক বর্মন ও অরবিন্দ কুমার বর্মন নামে দুই যুবক। তারাই ভুয়ো মেইল পাঠিয়ে চাকরি হয়ে গিয়েছে বলে জানান ছাত্রীকে। তাঁদের কথায় বিশ্বাস করে দফায় দফায় টাকা টাকা দেয় সে। কিন্তু তখনও ওই ছাত্রী জানতেন না তিনি প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন। গত ১০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করতে এসে কাউকে শেষ পর্যন্ত খুঁজে না পেয়ে তার সন্দেহ হয়। এরপর সবাইকে জানান। আজ সমস্ত প্রমাণপত্র সহ অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করেছেন ওই ছাত্রী। এদিন
ওই ছাত্রী বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। উনি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নেওয়া হবে বলে জানান। আমার কাজের প্রয়োজন থাকায় ওনাকে বলি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। উনি রেজিস্ট্রার দুর্লভ স্যারের নম্বর দেন। আমি ওই নম্বরে যোগাযোগ করতেই উনি বলেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে জয়েন করতে হলে অ্যাডমিশন ফি দিতে হবে। এছাড়া পিএফ অ্যাকাউন্ট, ল্যাপটপ সহ অন্যান্য বিষয়ের জন্য টাকা দিতে হবে। আমি এদিক ওদিক থেকে জোগাড় করে টাকাটা দিয়ে দিই। আমাকে বলেছিল এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী। ১০ তারিখে আমাকে জয়েনিং তারিখ দেন। আমি সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার পর আমাকে ফোনে বাড়ি চলে যেতে বলে। আমি চলে যাই। একদিন পর আমি ওনাকে জানাই, আমার টাকার খুব দরকার।
বেতনটা অ্যাডভান্স দিলে ভালো হয়। একটু পরেই দেখি আমার কাছে ই-মেইলে মেল আসে ৪৫ হাজার টাকা পিএফ অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। আমাকে জানায়, টাকা তুলতে হলে আগে ৫ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি সবটাই ভুয়ো। রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়েছি। সমস্ত ডকুমেন্টস জমা দিতে বলেছি। যে প্রতারকের ফোন নম্বর থেকে তার কাছে ফোন এসেছে এবং আজও এসেছে সেই নম্বর জমা দিতে বলেছি। জেলা পুলিশ সুপার এবং সাইবার ক্রাইমকে জানিয়েছি। সাধারণ মানুষকে বারবার সচেতন করা সত্ত্বেও তারা প্রতারিত হচ্ছেন।’