শীতলকুচি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনি হিংসায় মৃতদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই শীতলকুচিতে মৃত তৃণমূল সমর্থককে নিয়ে বয়ান বদল করল পরিবার ও পুলিশ। আগে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হলেও এখন ভোটের দিন বোমার আগাতে মৃত্যুর তথ্য সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের দিন শীতলকুচি ব্লকের কার্জির দীঘি এলাকায় লতিফ মিয়াঁ নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক জখম হন। রবিবারই শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ভোটের দিন কিভাবে লতিফ জখম হয়েছিল তা নিয়ে অজ্ঞাত কারণে চুপ ছিলো তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিশের কাছেও এমন কোনও তথ্য নেই বলে জানিয়েছিলেন মাথাভাঙ্গা অ্যাডিশনাল এসপি। মৃত তৃণমূল কর্মীর দাদা এনামুল মিয়াঁ জানিয়েছিলেন, তাঁর ভাই বাইক দুর্ঘটনায় জখম হয়ে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। এরপরই বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ভোটপর্বে মৃতদের পরিবারকে হোমগার্ডের চাকরি ও ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। এরপরই বয়ান বদলে দেয় মৃতের পরিবার। এমনকি পুলিশের বক্তব্যেও ছিল একদমই অন্য সুর। বৃহষ্পতিবার মৃতের দাদা এনামুল মিয়াঁ জানান, প্রথমে ভাই বাইক দুর্ঘটনার কথা জানিয়েছিল। তাই তাঁরাও সংবাদমাধ্যমে সেইমতোই বয়ান দেন। কিন্তু পরে জানতে পেরেছেন লতিফ নির্বাচন কমিশনের ঠিকা কাজ করতো। বাইক নিয়ে মধ্য শীতলকুচি বুথে গেলে দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে বোমের আঘাতে জখম হয়। তারপরই শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
লতিফে মৃত্যু নিয়ে আগে চুপ থাকলেও এদিন তৃণমূলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি তপন গুহ বলেন, ‘লতিফ তৃণমূলের সমর্থক ছিলেন। ভোটের দিন বাইক নিয়ে সংঘর্ষের মাঝে পড়ে জখম হয় এবং মৃত্যু ঘটে। পরিবারটির পাশে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়েছেন। ক্ষতিপূরণ পাবে পরিবারটি।’ বিজেপির শীতলকুচির বিধায়ক বরেন চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবার চাকরি ও ক্ষতিপূরণ পেলে ভালোই। এবিষয়ে কিছু বলার নেই। কিভাবে জখম হয়েছিল জানা নেই। ’ এদিন মাথাভাঙ্গা অ্যাডিশনাল এসপি অমিত ভার্মা জানান, পঞ্চায়েত ভোটের দিন মধ্য শীতলকুচি গ্রামে এক যুবতী ও লতিফ মিয়াঁ বোমের আঘাতে জখম হন। রবিবার লতিফের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ’