বক্সিরহাট: ভোট-হিংসার বলি হলেন আরও একজন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ধারাল অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হল। তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের ঘটনা। মৃতের নাম জয়ন্ত বর্মন (৪৫)। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। ভোট-হিংসায় এনিয়ে ব্লকে দুজনের প্রাণ গেল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার রাতে শালবাড়ি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বজরাপুর এলাকায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর জখম হন জয়ন্ত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় ওই বিজেপি কর্মীর। মৃতের পরিবারে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
প্রতিবেশী ধীরাজকুমার বর্মার অভিযোগ, ঘটনার রাতে জয়ন্তকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন ৯/১৪৪ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী করুণাকান্ত বর্মন। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে জয়ন্তর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়।
মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী কণিকা বর্মন জানান, তাঁতের কাজ করে চলে সংসার। ভোট-হিংসায় মৃত্যু হল তাঁর স্বামীর। এখন কীভাবে সংসার, দুই মেয়ের পড়াশোনা চলবে, তা ভেবেই কুলকিনারা পাচ্ছেন না তিনি। দোষীদের কঠোর শাস্তি চান কণিকা।
এ ব্যাপারে বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় জানান, তাঁদের দলের সক্রিয় কর্মী জয়ন্ত বর্মনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওঁর মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন সুকুমার।
এবিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, ‘বিজেপি বরাবরই তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলে। যে কোনও মানুষ খুন হলেই তাঁদের দলের কর্মী বলে চালিয়ে দেয় বিজেপি। যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। তবে পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করলেই সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। তৃণমূলের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।’
অন্যদিকে, বক্সিরহাট থানা জানিয়েছে, গত রবিবার একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে থানায়। অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।