রায়গঞ্জ: ফুলকপি ও বাঁধাকপির ফলন ভালো হলেও উপযুক্ত দাম না পেয়ে মাথায় হাত কৃষকদের। এমনই ছবি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া টেনহরি গ্রামের। এই এলাকা কৃষি প্রধান। এবার টেনহরি গ্রামে ফুলকপি ও বাঁধাকপি ফলন খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু দাম পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে ২২-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও মাঠে গিয়ে পাইকাররা ১০-১২ টাকা কেজি দরে কপি কিনছেন। ফলে লাভের মুখ দেখা তো দূর অস্ত, চাষের খরচ উঠবে কিনা তা ভেবে চিন্তিত কৃষকরা।
শনিবার টেনহরি গ্রামে গিয়ে দেখা গেল অধিকাংশ জমিতে কপি পড়ে রয়েছে। দাম না পাওয়ায় বিক্রি করতে চাইছেন না কৃষকরা। গ্রামের কৃষক মদনমোহন দাস এবার তিন বিঘা জমিতে ফুল ও বাঁধাকপি চাষ করেছেন। মদনবাবু বলেন, ‘সেপ্টেম্বর মাসে যে কপি লাগিয়েছিলাম, সেটা এখন তুলে নিচ্ছি। কারণ বাজার খুব খারাপ। ফলন ভালো হলেও দাম পাচ্ছি না।’ আরেক কৃষক বকুলচন্দ্র দাসের কথায়, ‘বাজার খুব মন্দা। খুব দামাদামি করলে পাইকাররা কেজি প্রতি ১৫ টাকা দিচ্ছেন। ২০ টাকা পেলে কিছু লাভ থাকত। টাকার প্রয়োজন বলে কম দামেই পাইকারদের বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।’
এবিষয়ে গ্রামের বাসিন্দা তথা পেশায় শিক্ষক মাধবচন্দ্র দাস জানান, গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মহাজনের থেকে টাকা সুদ ধার নিয়ে কেউ কেউ চাষাবাদ করেছেন। দাম না পেলে কৃষকরা সমস্যায় পড়বেন। যদিও খুচরো বাজারে চড়া দাম রয়েছে কপির। বিষয়টি নিয়ে রায়গঞ্জ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ি বলেছেন, ‘বাজারগুলিতে প্রচুর ফুল ও বাঁধাকপির আমদানি হওয়ায় এবারে দাম তুলনামূলকভাবে কম।’