চোপড়া: বর্তমানে খোলাবাজার আর সহায়কমূল্য প্রায় সমান। সরকারি সহায়কমূল্যে ধান ক্রয়কেন্দ্রে আসছেন না কৃষকরা। চোপড়ার সহায়কমূল্যে ধান ক্রয়কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ কুইন্টাল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ধান কেনা হয়েছে মাত্র ৬৫ হাজার কুইন্টাল। চোপড়ায় ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে তাই উদ্বেগ বাড়ছে। গত বছর ১ নভেম্বর থেকে সহায়কমূল্যে ধান কেনা শুরু হয়েছে। খোলাবাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় দিনে গড়ে ২-৩ জনের বেশি কৃষক সহায়কমূল্যের ক্রয়কেন্দ্রে আসছেন না। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন ৬০ জন কৃষক ধান দিতে পারবেন। এদিকে এলাকার কৃষকদের অনেকেরই বক্তব্য, বর্তমানে খোলাবাজারে প্রতি কুইন্টাল ধানের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১০০-২১৫০ টাকা। আর সহায়কমূল্য ২১৮৩ টাকা। উৎসাহ ভাতা সহ মোট ২২০৩ টাকা। খোলাবাজারে আরও দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষকদের অভিমত। এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, সহায়কমূল্যে ধান ক্রয়কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ৩ শতাংশ ধান কেটে নেওয়া হচ্ছে। তার উপর আনলোডের জন্য আলাদা খরচ দিতে হচ্ছে।
মহম্মদ শরিফুল নামে এক কৃষকের কথায়, ‘একজন কৃষক ৩০ কুইন্টালের বেশি ধান সহায়কমূল্যে বিক্রি করতে পারছেন না। গত এক মাসে খোলাবাজারে ধানের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সহায়কমূল্যে ধান ক্রয়কেন্দ্রে কৃষকদের অনীহা বাড়ছে।’ যদিও খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক রতন মণ্ডল বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’ অভিযোগ, শুরু থেকে চোপড়ার সহায়কমূল্যে ধান ক্রয়কেন্দ্রে ফড়েদের দৌরাত্ম্য চলছে। ফড়েদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে অনেকেই অতিষ্ঠ। ফড়েরা আগে থেকে তাঁদের পরিচিত ও নিজেদের লোকজনের নামে কার্ড করে রেখেছেন। ওঁদের নামেই সহায়কমূল্যে ধান বিক্রি করে আসছিলেন। বর্তমানে খোলাবাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় ফড়েরা সরে দাঁড়িয়েছেন।