ফুলবাড়ি: মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তপসিতলা সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় জলঢাকা নদীর চরে প্রচুর পরিমাণে তরমুজের চাষ হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইতিমধ্যেই তরমুজ তুলে বাজারে পাঠানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন চাষিরা। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবছর কিছু চাষির জমিতে তরমুজের ফলন কম হয়েছে। আবার কিছু চাষির জমিতে ফলন ভালো হয়েছে, ফলে ভালো দাম পাচ্ছেন তাঁরা।
তিস্তা নদীর চরে উৎপাদিত তরমুজ প্রতিবছর শিলিগুড়ির বাজার দখল করে। কিন্তু এবছর তিস্তার চরে তরমুজের চাষ তেমন হয়নি। জলঢাকা নদীর চরে তরমুজের ফলন অনেক কম। তাই এবছর তরমুজের ভালো বাজার থাকবে, এমনটাই আশা করেছিলেন চাষিরা। আর সেটাই হয়েছে। তপসিতলার এক চাষি সাধুরাম বাড়ই বলেন, ‘গত বছর এই সময়ে পাইকারি বাজারে তরমুজের দাম ছিল ৭ থেকে ৮ টাকা প্রতি কেজি। কিন্তু এবছর এখনও পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এবছর পাইকাররা তরমুজ কেনার জন্য আগেই যোগাযোগ করেছেন।’
তিনি আরও জানাচ্ছেন, এলাকা থেকে বড় ট্রাকে সরাসরি শিলিগুড়ির বাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তরমুজ। শিলিগুড়ি থেকে এই তরমুজ চলে যাচ্ছে কলকাতা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ। তিনি বলেন, ‘এলাকায় কিছু চাষির জমিতে ফলন একদম কম হয়েছে। তবে আমার জমিতে ফলন খারাপ হয়নি। তরমুজ চাষের জন্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি কেজি ১০ টাকা করে থাকলেও প্রায় ৪ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি হবে।’
আরেক চাষি নারায়ণ মজুমদার বলেন, ‘আমার জমিতে তরমুজের ফলন খারাপ হয়নি। যে দাম আছে, তাতে ক্ষতি হবে না।’ অন্যদিকে, তরমুজচাষি দীনবন্ধু মজুমদার ও সুবোধ সরকারের জমিতে ফলন এবারে কম। তাঁরা বলেন, ‘কী কারণে আমাদের জমিতে ফলন কম হল তা বুঝতে পারছি না। আমাদের আসল তুলতেই হিমসিম খেতে হবে।’ চাষিদের ধারণা, এবছর এখনও পর্যন্ত তেমন গরম পড়েনি। চড়া রোদ ও বেশি গরম থাকলে তরমুজের চাহিদা আরও বাড়বে। তেমনটা হলে এবছর তরমুজের দাম বাড়বে বই কমবে না।