আলিপুরদুয়ার: লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই চারিদিকে ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। পতাকা, ব্যানার, ফ্লেক্স, ফেস্টুন ইত্যাদি দিয়ে শহর ঢেকে গিয়েছে। উৎসবের আমেজ চারিদিকে। তাই বাদ যাচ্ছেন না বস্ত্র ব্যবসায়ীরাও। তাঁরাও এই ‘ভোট উৎসবে’ শামিল হতে বাজারে নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ডিজাইনের ভোট স্পেশাল টি-শার্ট। সাদা টি-শার্টের উপরে সবুজ, গেরুয়া, কিংবা লাল রং দিয়ে করা হয় দলের ডিজাইন কিংবা দলের লোগো থাকে।
১৯ এপ্রিল রয়েছে আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসন সহ তিনটি আসনে ভোট। হাতে খুব একটা সময়ও নেই। তাই দলগুলি এখন ব্যস্ত প্রচারের বিভিন্ন কাজে। প্রতিবার এই সময় দেখা যেত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিছিলে ‘ভোট ফর বিজেপি’ ‘ভোট ফর টিএমসি’ কিংবা ‘ভোট ফর সিপিএম’ লেখা গেঞ্জি পরে কর্মী-সমর্থকদের প্রচার করতে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় মোদি-মমতার মুখের ছবি দেওয়া গেঞ্জি পরেও অনেককে মিছিলে হাঁটতে দেখা যেত। কিন্তু ভোটের প্রচার এই মুহূর্তে তুঙ্গে থাকলেও সেই ছবি এখনও নেই। এর ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন শহরের বিক্রেতারা। গেঞ্জি বা শার্ট আনলেও সেগুলো আদৌ বিক্রি হবে কি না সেই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিন শহরের নিউটাউন, কলেজ হল্ট, চৌপথি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে দোকানের সামনে অন্যবারের ভোটের সময় গেঞ্জি, শার্ট ঝুলিয়ে রাখার চিত্র উধাও। এবিষয়ে শহরের এক ব্যবসায়ী মানিক সাহা বলেন, ‘গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের সময় গেঞ্জি, শার্ট আনা হয়েছিল বিক্রির জন্য। তার মধ্যে অনেকগুলো এখনও বিক্রি হয়নি। সেগুলোই বিক্রি করার চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও জানান, নতুন কী আর ওঠাব। আগেরগুলো এখনও বিক্রি হচ্ছে না। তাই এখন নতুন জিনিস ওঠাব কি না তার চিন্তায় রয়েছি।
৮০ টাকা করে গেঞ্জি আর ১২০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত শার্ট বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মানিক। শহরের বাসিন্দা শিবানি তরফদার দোকানে এসে মোদির মুখ ছাপানো একটি গেঞ্জি কেনেন। তিনি বলেন, ‘প্রচারে এই গেঞ্জি পরে বের হব। তাই এটা কেনা।’
শহরেরই এক ব্যবসায়ী সঞ্জিত সরকারের কথায়, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বর্তমানে কলকাতা, দিল্লি থেকে এধরনের গেঞ্জি নিয়ে আসে। ফলে বাইরের দোকান থেকে সেগুলো নিজেদের পয়সা দিয়ে অনেকেই কিনতে চান না। দলই কর্মী-সমর্থকদের গেঞ্জিগুলো দেয়।’
বাসিন্দা দিলীপ বর্মনের কথায়, ‘নিজের পছন্দের দলের জন্য প্রচার করতে গেঞ্জি কিনতে আসি। দলের কর্মীদের জন্য দল থেকে গেঞ্জি দেওয়া হলেও আমার মতো অনেকেই নিজের সামর্থ্যেই বাইরে থেকে কেনাকাটা করি।’