চালসাঃ হাতির হাত থেকে ফসল বাঁচাতে গাছের ওপর বাঁশের মাচা বানিয়ে প্লাস্টিক টাঙিয়ে অস্থায়ী আস্তানা বানিয়ে রাতভর ফসল পাহারা দিচ্ছে কৃষকেরা। বর্তমানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই অস্থায়ী আস্তানায় রাত কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। ঘটনাটি মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম বাতাবাড়ি এলাকার। প্রতি বছর এই ভাবেই ধান খেতে হাতির হানা রুখতে পাহারার ব্যবস্থা করেন এলাকার কৃষকরা। ওই এলাকায় নজরদারির জন্য ওয়াচ টাওয়ার বানানোর দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
জানা যায়, ওই এলাকায় ১০০ বিঘার ওপরে জমিতে ধান চাষ হয়। প্রতি বছর লাটাগুড়ি জঙ্গল থেকে হাতির দল বের হয়ে বড়দিঘি চা বাগান হয়ে ওই এলাকায় আসে খাবারের লোভে। এলাকায় হানা দিয়ে ধান খেত নষ্ট করে দেয়। এবছর ধান এখন পাকতে সবে শুরু করেছে। তাই কৃষকেরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। হাতির দলও আসতে শুরু করেছে। তাই ওই এলাকায় ধানের খেত বাঁচাতে আস্তানা বানিয়ে পাহারার কাজও শুরু করেছে বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দা বুল্ডুং ওরাওঁ রা জানায়, প্রতি বছর এই এলাকায় হাতি এসে ধান নষ্ট করে দেয়। অনেকেই জমি থেকে ধান ঘরে তুলতে পারে না। তাই এবছর আগে ভাগে পাহারার কাজ শুরু করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের জমি পাহারা দিতে হচ্ছে। ওই এলাকায় ওয়াচ টাওয়ার থাকলে পাহারার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। এছাড়া হাতি তাড়ানোর জন্য পটকা, সার্চ লাইট দেওয়া হয় না। ওই সকল সামগ্রী দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
বনদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন জায়গায় ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। যৌথ বন সুরুক্ষা কমিটির মাধ্যমে সার্চ লাইটও দেওয়া হয়। ওই এলাকাটি হাতিদের করিডোর। সেখানে ওয়াচ টাওয়ার বসানোর পরিকল্পনাও নেওয়া আছে। বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে বিভিন্ন হাতি প্রবন এলাকায় ওয়াচ টাওয়ার বানানো হয়েছে। ওই এলাকা সহ আরও বেশ কয়েকটা জায়গায় ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া আছে। মাটিয়ালি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হোসেন হাবিবুল হাসান বলেন, মেটেলি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় এই সময়ে ধানের লোভে হাতির দল ধান খেতে হানা দেয়। এ বিষয়ে বনদপ্তর এর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।