উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অনুরোধ-বৈঠক কোনওটাতেই কাজ না হওয়ায় এবার নিজেদের একাধিক দাবিতে ‘দিল্লি চলো’ অভিযান শুরু করেছেন পঞ্জাব-হরিয়ানা-উত্তরপ্রদেশের হাজার হাজার কৃষক। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে পাঁচ হাজার ট্র্যাক্টর। কৃষকদের এই আন্দোলনে (Farmers Protest) উত্তাল দেশ। মঙ্গলবারই ‘দিল্লি চলো’ (Delhi Chalo) অভিযানে নেমেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। রাতে অভিযান বন্ধ রাখলেও, বুধবার সকাল থেকে ফের দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবে বলে জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। এদিকে, মঙ্গলবার পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রবল ধস্তধস্তি হয় পুলিশের। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ড্রোন থেকে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। চালানো হয় জলকামান। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছেন বলেই খবর। তাতেও থামানো যায়নি আন্দোলনকারীদের। ক্রমশ দিল্লির দিকে এগোচ্ছেন তাঁরা।
এদিকে, শম্ভু সীমান্তে পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষের পরে দিল্লি পুলিশ টিকরি সীমান্ত সিল করে দিয়েছে। ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই অবস্থা দিল্লিরও। সোমবার রাত থেকে জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লালকেল্লাতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ। মোতায়েন করা হয়েছে বিশেষ সুরক্ষা বাহিনী। ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হরিয়ানার সাতটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হরিয়ানা পুলিশ খানাউরিতে পঞ্জাবের কৃষকদের উপর লাঠিচার্জও করেছে।
মঙ্গলবার কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’-র সংক্রান্ত দায়ের করা দুটি আলাদা আবেদনে কেন্দ্রীয় সরকার এবং হরিয়ানা ও পঞ্জাব সরকারকে নোটিশ জারি করেছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট। সেখানে সব পক্ষকেই পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে তা নিয়ে কোনও পক্ষই কিছু বলেনি।
প্রসঙ্গত, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি নিয়ে আইন সহ একাধিক দাবি নিয়েই ফের পথে নেমেছে কৃষকরা। পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যের কৃষকরা ২০০টিরও বেশি কৃষক সংগঠনের নেতৃত্বে ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছে। সোমবারই কৃষক পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ঘণ্টাখানেক ধরে বৈঠক চললেও, শেষ অবধি ব্যর্থ হয় সেই বৈঠক।