উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই জেলায় জেলায় তৃণমূলের প্রার্থী পদ নিয়ে অসন্তোষের খবর মিলছে। ইতিমধ্যেই প্রার্থীপদ নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের এক কর্মীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন তৃণমূলেরই এক সম্ভাব্য প্রার্থী।এবার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ, হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়াল আলিপুরদুয়ার জেলায়। তৃণমূলের কার্যালয়ে চলল ভাঙচুর। উত্তেজনা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সোমবার রাত ৮ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার ১ নং ব্লক বিবেকানন্দ ২ নং অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে।
জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট নাগাদ বিবেকানন্দ ২ নং অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকার প্রার্থী বাছাই নিয়ে আলোচনায় বসে এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ তার কিছুক্ষণ বাদেই অঞ্চল সভাপতি দলবল নিয়ে ওই কার্যালয়ে প্রবেশ করে। আচমকাই কার্যালয়ে থাকা অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ভেঙে ফেলা হয় কার্যালয়ের বহু চেয়ার। খুলে ফেলা হয় দলীয় পতাকা। এমনকি মহিলা তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ করে বলে অভিযোগ।এরপরই দুই পক্ষই তৃণমূল কার্যালয়ের ভিতরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। প্রথমে ধস্তাধস্তি পরবর্তীতে মারপিট শুরু হয়।
এই খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছন আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য। ধুন্দুমার পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা কার্যালয়ের ভেতরে বাহিনী নিয়ে ঢুকতে হয় আইসিকে। প্রায় ৪৫ মিনিট যাবত এই পরিস্থিতি চলে কার্যালয়ের ভেতরে।
পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এর পরেই তৃণমূল কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন এলাকার বাসিন্দারা। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। যদিও এইও ঘটনায় মুল অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি সুকান্ত দে’র কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।