উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শাসক দলের কম বেশি প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি নিজে একজন সাংসদ, অভিনেতা, তা স্বত্বেও তিনি যথেষ্ট সক্রিয় রাজনীতির আঙিনায়। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লি অভিযানে দেখা মেলেনি তাঁর। এমনকি গত চারদিন ধরে চলা রাজভবনের সামনে ধর্না মঞ্চেও একটিবারের জন্য পা রাখেননি তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। অবশেষে সব জল্পনায় জল ঢেলে সোমবার তিনি পা রাখলেন ধর্নামঞ্চে।
সামনেই অভিনেতা দেব প্রযোজিত, অভিনীত ছবি বাঘাযতীন মুক্তি পেতে চলেছে। এই মুহূর্তে দেব ব্যস্ত ছবির প্রচারে। এরইমধ্যে গতকাল অর্থাৎ রবিবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি পরিদর্শন করে এসেছেন তাঁর সংসদীয় এলাকা ঘটাল। অন্যদিকে গতকাল ফিরহাদ এবং মদন মিত্রের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই দুই মন্ত্রীকে নিয়ে দেব বলেছিলেন, ‘অন্যায় করলে শাস্তি হোক।’ এই মন্তব্য এবং দেবের ধর্নায় অংশ না নেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার উদ্রেক হয়। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দলের রাজ্যপালের সাথে দেখা করার নির্দিষ্ট সময়ের ঘণ্টাখানেক আগে ধর্না মঞ্চে পৌঁছন দেব। তবে দেবের দর্শন পাওয়া গেলেও বকেয়া আদায় নিয়ে শাসক দল যে যে কর্মসূচি নিয়েছে তার কোনটাতে দেখা যায়নি সাংসদ, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। এদিন বিকেল পর্যন্ত ধর্না মঞ্চেও দেখা মেলেনি তাঁর। যদিও তিনি দাবি করেছেন সামনেই ছবি মুক্তির কারনে তিনি ব্যস্ত। কিন্তু তাঁকে নিয়েও যথেষ্ট ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।