কিশনগঞ্জঃ আইভিএফ চিকিৎসার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এক নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিল করল প্রশাসন। লাইসেন্স বাতিল হয়েছে কিশনগঞ্জের এক বেসরকারী নার্সিংহোমের। এই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোনওরকম পরিকাঠামো ছাড়াই অবৈধভাবে আইভিএফ সেন্টার খুলে সন্তানহীনাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছে এই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, নার্সিংহোমে আইভিএফ হয়না, শুধুমাত্র বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা হয় মাত্র। বিনা নোটিশ ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই লাইসেন্স বাতিল করেছে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, কিশনগঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে পরিকাঠামো ছাড়াই অবৈধভাবে আইভিএফ সেন্টার খুলে ব্যবসা শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, সন্তানহীনাদের মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে প্রচুর মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছে সংস্থাটি। কয়েকমাস আগে এক প্রতারিত মহিলা কিশনগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ডাঃ এমানুল হক মেগনু ও জেলাশাসক তুষার সিঙলাকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান। এরপরই পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে নার্সিংহোম ও অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। গঠন করা হয় একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। তদন্তে প্রমাণিত হয়, নার্সিংহোমে আইভিএফ চিকিৎসার কোনও পরিকাঠামোই নেই। এরপরই শনিবার রাতে লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ ধরায় জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন।
এদিকে নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিলের প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যায় পথে নামে আইএমএর সদস্যরা। তাঁরা অবিলম্বে লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত খারিজের দাবি জানান। সেই দাবি পূরণ না হলে জেলাজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
অপরদিকে এই অভিযুক্ত নার্সিংহোমের নির্দেশক ডাঃ বেদ আর্যর বক্তব্য, নার্সিংহোমের প্রয়োজনীয় সব নথি পত্র খতিয়ে দেখেই লাইসেন্স দিয়েছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। নার্সিংহোমের রেজিস্ট্রেশন আইভিএফ-এর ভিত্তিতে হয়নি। সেখানে আইভিএফের কোনও চিকিৎসা হয় না। কিন্তূ স্বাস্থ্য দপ্তর বিনা নোটশ ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।