চোপড়াঃ ফিঙ্গারপ্রিন্ট জালিয়াতি চক্রের অভিযানে নেমে ফের বেশকিছু সরঞ্জাম সহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করল চোপড়া থানার পুলিশ। একই অভিযোগে গত ২১ সেপ্টেম্বর চোপড়া থানার নারায়ণপুর এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ইসলামপুর সাইবার থানা ও চোপড়া থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ল্যাপটপ, সিপিইউ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেভলভ করার রাসায়নিক উপকরণ সহ আরও কিছু সরঞ্জাম উদ্ধারের পাশাপাশি এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতকে শুক্রবার ইসলামপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক ৭ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
এলাকায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট জালিয়াতি চক্রের হদিস পেতেই পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়েছে। পুলিসের অনুমান বাড়িতেই বসেই যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বানানো হচ্ছে। অভিযানে নেমে পুলিশ জানতে পারেন জালিয়াতির জন্য অনেক সময় বাইরের রাজ্যের আইডি ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকারি বা বেসরকারি বিভিন্ন সাইডের মাধ্যমে আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে প্রতারণার জাল পেতেছেন চক্রটি। আধার এনেবেল্ড পেমেন্ট সিস্টেম (এইপিএস) এর মাধ্যমে অন্যের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতানো হচ্ছে। এলাকায় জালিয়াতি চক্রের তালিকা দিনের পর দিন বাড়ছে।
পুলিশ সূত্রে জানানো হচ্ছে অভিযুক্তদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে ইতিমধ্যে ইসলামপুর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ও চোপড়া থানার পুলিশ যৌথ অভিযানে আঙ্গুলের ছাপ ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের মেশিন সহ প্রচুর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।