নাগরাকাটাঃ রাজ্য স্তরের কালচারাল ও লিটারারি মিটে সেরার খেতাব হাসিল করল নাগরাকাটার একলব্য মডেল স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা। গত বৃহস্পতিবার আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে কলকাতার আদিবাসী ও কারিগরী ভবনে ওই প্রতিযোগিতার আসর বসে। তাতে অনগ্রসর সম্প্রদায় কল্যাণ দপ্তর পরিচালিত রাজ্যের ৭ টি একলব্য স্কুলই অংশ নেয়। বেশিরভাগ ইভেন্টেই নাগরাকাটার স্কুলটির ছেলে মেয়েদের জয়জয়কার। এই প্রাপ্তিতে স্কুলে এখন খুশির হাওয়া।
প্রতিযোগিতার প্রথম স্থানাধীকারীরা এবারে আগামী অক্টোবরে উত্তরাখন্ডে জাতীয় স্তরের মিটে অংশ নেবে। নাগরাকাটার একলব্য মোট ১৮ টি ইভেন্টে পুরস্কার পায়। এর মধ্যে প্রথম হয়েছে ১০ টি তে। স্কুলের টিআইসি সঙ্গম রাই বলেন, খুব ভাল লাগছে। ছাত্রছাত্রীদের পারফরম্যান্স ছিল এককথায় অনবদ্য। এই ধরনের আসরে অংশ নিতে পেরে ওরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করলো তা আগামীতে কাজে লাগবে বলেই বিশ্বাস করি।
ওই মিটে কালচারাল ইভেন্টে ছিল সমবেত নৃত্য, সমবেত সংগীত, নাটক, উপজাতিদের ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্র পরিবেশনের মতো আরো নানা বিষয়। লিটারারিতে ছিল বিতর্ক, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, গল্প ও শ্লোক পাঠ সহ আরও বেশ কিছু ইভেন্ট। নাগরাকাটার একলব্য মডেল স্কুল থেকে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর মোট ৫৮ জন পড়ুয়া অংশ নেয়। তাঁদের বেশিরভাই পুরষ্কার জিতে নেয়। আন্ত একলব্য মিটের ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের জন্যও একাধিক প্রতিযোগিতা ছিল। তাতে বাদ্যযন্ত্রের ইভেন্টে বেহালা বাজিয়ে প্রথম স্থান দখল করেন টিআইসি সঙ্গম নিজেই। এর বাইরে মাদল বাজিয়ে দ্বিতীয় হন ওই স্কুলেরই আরেক শিক্ষক নীতেশ ঘাটানি। নিজেদের স্কুলের সেরা হওয়ার খবর শুনে এদিন উচ্ছাস ছড়িয়ে পড়ে সেখানকার সমস্ত পড়ুয়া মহলে। আগামী সোমবার পুরষ্কার জয়ীদের স্কুলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য একলব্য মডেল স্কুলে কেবলমাত্র তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েরাই পড়াশোনা করতে পারে। স্কুলের এক সিনিয়ার শিক্ষক মজিবুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে বেশিরভাগ পড়ুয়াই ডুয়ার্সের চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের প্রথম প্রজন্মের ছাত্রছাত্রী হলেও ওদের প্রতিভাতে কোন ঘাটতি নেই।