আসানসোল: দু’সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার। গোরু পাচার মামলা দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)র তোড়জোড় আবারও ধাক্কা খেল আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। শনিবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর প্রশ্নের মুখে পড়লেন ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র। এদিনও তিনি বিচারকের প্রশ্নের কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। এদিন দু’দফায় ঘন্টা দেড়েক সময় ধরে ইডির আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হয়। শেষ পর্যন্ত বিচারক ইডির আইনজীবীকে আরও সময় দেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৬ সেপ্টেম্বর।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুলাই আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ইডির তরফে ৪৪(১/সি) নম্বর ধারায় মামলা স্থানান্তরের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু গত ১৯ অগাস্টের মতো এদিনও আদালতে আবেদনের দ্বিতীয় শুনানির দিনও কার্যত ধাক্কা খেল ইডি। কেন এই মামলা দিল্লিতে সরানো হবে তা প্রশ্ন করেন বিচারক। তিনি জানতে চান, কোন আইনে ও কে এই অধিকার ইডিকে দিয়েছে? কোনও মামলা কি ইচ্ছে করলে কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি, যে কোনও রাজ্যে নিয়ে যেতে পারে? পিএমএলএ বা প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের মামলা যে ইডি করবে, তার সরকারি অর্ডার বা গেজেট নোটিফিকেশন আছে? সেই সময় ইডির আইনজীবী আইনের একাধিক ধারার উল্লেখ করে আবেদনের পক্ষে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেন। বিচারক এজলাসে ধারাগুলি পড়েন ও জানতে চান এই প্রশ্নের উত্তর কোথায় আছে? ইডির আইনজীবী একই তথ্য দিতে থাকেন। পাশাপাশি তিনি বিচারকের কাছে আবেদন করে বলেন, ‘এই বিষয়টি এদিনের নির্দেশনামায় উল্লেখ করলে ভালো হয়।’ বিচারক অনুব্রতর আইনজীবী শেখর কুন্ডু ও সোমনাথ চট্টরাজের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দেন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৬ সেপ্টেম্বর। প্রসঙ্গত, এই মামলায় দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত, তাঁর কন্যা সুকন্যা, তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল, এনামুল হক এবং বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার।