রায়গঞ্জঃ কালী মন্দিরের মেঝেতে আলতা পরা পায়ের ছাপ। আর এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ এলাকায় একটি মন্দিরে। অনেকেই বিষয়টিকে নিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন আবার অনেকেই অলৌকিক ঘটনা বলেই মনে করছেন। যদিও বিষয়টির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রায়গঞ্জের বিজ্ঞানমঞ্চ। বিজ্ঞান মঞ্চের ধারণা সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করতে কেউ এমন পায়ের ছাপের গল্প ফেঁদেছেন। এই ঘটনার আসল রহস্য খুঁজতে আগামীকাল বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা মন্দিরে যাবেন।
ঘটনাটি উত্তরাঞ্চল ক্লাবের কালী মন্দিরের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার ক্লাবে পুজো দেওয়ার পর তালা দিয়ে বাড়ি চলে যান মন্দিরের পুরোহিত সুন্দর গোস্বামী। বিকেলে মন্দির খুলতেই তাঁর চক্ষু চড়ক গাছ। তিনি দেখেন তালা বন্ধ মন্দিরের ভেতরে পর পর লাল রঙের আলতা মাখা পায়ের ছাপ। পায়ের ছাপ দেবীর বেদী থেকে বাইরের দিকে চলে গিয়েছে। এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। ভিড় জমে যায় মন্দির চত্বরে।
পুরোহিত সুন্দর গোস্বামী বলেন, “বিকেলের দিকে মন্দির খুললে দেখতে পাই পায়ের ছাপ। সাধারণ মানুষের পায়ের ছাপ ভেবে মুছে দিই। এরপর তালা খুলতেই পর পর বেশ কয়েকটি ছাপ দেখে হতভম্ভ হয়ে পড়ি। এরপর সবাইকে ডেকে ব্যাপারটা জানাই। এবারে বিসর্জন দিতে দেরী হওয়ায় মা একাই বেড়িয়ে পড়েছেন বলে মনে হচ্ছে।”
অন্যদিকে, পুজো কমিটির সদস্য সবুজ সরকার জানান, এই মন্দিরটি খুবই জাগ্রত। মন্দিরের সঙ্গে অনেক অলৌকিক গল্প কথা জড়িয়ে আছে। এবার যে অলৌকিক ঘটনা ঘটল তাতে হতবাক সকলে। তাই আলতা পরিহিত মায়ের পায়ের ছাপ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যাতে এই ঘটনা যুগ যুগ ধরে মানুষের স্মৃতিতে বেঁচে থাকে। বিজ্ঞান মঞ্চের জেলা সহকারী সম্পাদক অনিরুদ্ধ সিনহা বলেন, এমন ঘটনা মন্দিরে প্রায় ঘটে। কেউ বা কারা এই সব ঘটনা ঘটিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। কোনও দেবতার পদ চিহ্ন নয়, ওটা মানুষের পদ চিহ্ন। আগামীকাল আমরা গিয়ে আসল রহস্য উদ্ঘাটন করব।