ময়নাগুড়ি: গরুমারা জঙ্গল ঘেষা ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাইতে বন্যপ্রাণীর যাতায়াতের করিডরে পিকনিকের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বন দপ্তর। জঙ্গল ঘেষা এলাকায় পিকনিক বন্ধের পাশাপাশি পিকনিকের ক্ষেত্রে বেধে দেওয়া হল একগুচ্ছ নিয়মাবলি। শনিবার গরুমারা সাউথ রেঞ্জের আধিকারিকরা জঙ্গল ঘেষা এলাকায় আসেন এবং এলাকাটি ঘুরে দেখেন।
জানা গিয়েছে, গরুমারা এবং নাথুয়া রেঞ্জের বনাঞ্চল ঘেষা জলঢাকা ও মূর্তি নদীর গা ঘেষে দীর্ঘদিন ধরেই পিকনিক হয়ে আসছে। যেই এলাকাজুড়ে পিকনিক হয় সেই এলাকাতেই রয়েছে বন্যপ্রাণীর বিচরণ ভূমি। বনাঞ্চল ছেড়ে প্রায়শই হাতি, গন্ডার, বাইসন বেরিয়ে চলে আসে। পিকনিকের পর ফেলে রাখা থার্মোকলের থালা গ্লাস, প্লাস্টিকের বোতল সহ খাওয়ারের উচ্ছিষ্ট অংশ থেকে দূষণ ও ছড়াবার আশঙ্কা থাকে। এর আগে একাধিকবার এই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে। তাই এই ধরনের ঘটনা রুখতে শীতের মরশুমে বন দপ্তরের তরফে পিকনিকের ওপর বেশ কিছু নিয়ম জারি করা হল। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে বন দপ্তরের তরফে এলাকার নজরদারির পাশাপাশি সচেতনতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিনয় ঝা বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে জলঢাকার এই এলাকা পিকনিক স্পষ্ট হিসেবেই পরিচিত, প্রচুর মানুষ এখানে আসেন। এলাকাটি জঙ্গলের কাছে হওয়ার দরুণ মাঝে মধ্যে বন্যপ্রাণীর আসা যাওয়া লেগে থাকে। তাই জঙ্গল থেকে কিছুটা দূরে জলঢাকা নদী সংলগ্ন এলাকায় পিকনিকের জন্য বলা হয়েছে। মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাত রুখতেই এই উদ্যোগ। তবে বন দপ্তরের গাইড লাইন মেনেই সকলকে পিকনিক করার জন্য বলা হবে।
গরুমারা সাউথ রেঞ্জের রেঞ্জার সুদীপ দে বলেন, পিকনিক করতে আসা জনসাধারণকে এই বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। বছরের শেষ এবং নতুন বছরের শুরুতে মানুষের ভিড় থাকে। যেহেতু কাছেই জঙ্গল তাই কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে পিকনিকের জন্য বলা হয়েছে। এলাকার যৌথ বন পরিচালন কমিটির সদস্যদেরও এই বিষয়ে বলা হয়েছে। জঙ্গল ঘেষা এলাকায় যাতে তীব্র আওয়াজে সাউন্ড বক্স বা ডিজে না বাজায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। পিকনিকের দিন গুলোতে বনকর্মীরা জঙ্গলের কাছে মোতায়েন থাকবেন নজরদারি।