উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ৫ দিন পর ফের চাকা গড়াতে চলেছে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছাড়াও একটি মালগাড়ি ও হামসফর এক্সপ্রেস। ওডিশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা স্টেশন হয়ে উঠেছিল মৃত্যুপুরী। রক্তে ভেসে গিয়েছিল বালানাগা স্টেশন ও আশপাশের এলাকা। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন খোদ রেলমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৮ জন। আহত হাজারের বেশি মানুষ। নিখোঁজ বহু।
শুক্রবার সন্ধ্যার এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর থেকেই অচল হয়ে যায় ওই লাইনে ট্রেন চলাচল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লাইন মেরামতের কাজ চালিয়ে ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পর থেকেই ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু করে রেল। দুর্ঘটনার পর বাতিল হয়েছে বহু ট্রেন। ঘুরপথে চলেছে বহু দূরপাল্লার ট্রেন। বাতিল ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসও। উদ্বেগ বেড়েছিল যাত্রীদের মধ্যে। অবশেষে ফের করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব সীমান্ত রেল। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী জানালেন, বুধবার বিকালে শালিমার থেকে চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়েই ওই ট্রেন ছাড়ার আপাতত সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় বাংলা থেকে প্রাণ হারিয়েছেন ১০৩ জন। যাঁদের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তৃণমূলের তরফ থেকে দেওয়া হচ্ছে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ। যদিও এখনও বহু মৃতদেরই নাম-পরিচয় এ জানা যায়নি। পরিজনদের খোঁজ চালাচ্ছে ওডিশা সরকার ও রেল। এদিকে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা দিচ্ছে রেল। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে দেওয়া হচ্ছে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ।