উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকর করতে বিল আনছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। সেপ্টেম্বরে পাঁচদিনের জন্য বিশেষ অধিবেশনে এই বিল আনছে কেন্দ্র। এই নীতি কার্যকর করতে কোন কোন দিক খতিয়ে দেখা উচিত তার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্র আইন কমিশনের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা সেরেও ফেলেছে। এই আলচনার পর মোদি সরকার একটি কমিটি গঠন করে।সুত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ রয়েছেন এই কমিটির নেতৃত্বে।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম রাজ্যসভায় বাদল অধিবেশন চলাকালীন বলেছিলেন, ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু করার জন্য আইন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে কেন্দ্র।এর ফলে যে বিপুল অর্থের সাশ্রয় হবে, তা রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের প্রচারে ব্যয় হতে পারে। এই নীতি কার্যকর হলে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের গতিও বাড়বে।’’ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বৃহস্পতিবার বলেছিলেন ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে। এই প্রয়োগের ক্ষেত্রে মোদি সরকারের যুক্তি ছিল, লোকসভা ভোটের সঙ্গেই যদি প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভা ভোট একসঙ্গে সেরে ফেলা যায় তাহলে নির্বাচনের খরচ অনেক কমবে। একটি ভোটার তালিকাতেই দু’টি নির্বাচন হলে কাজের চাপ অনেকটা কমবে সরকারি কর্মীদের।এছাড়াও ভোটের আদর্শ আচরণ বিধির জন্য সরকারের কোন উন্নয়নমূলক কাজ থেমে থাকবে না। আর কেন্দ্রের এই ভাবনাকে নীতি আয়োগ, আইন কমিশন, নির্বাচন কমিশনও সমর্থন জানিয়েছে।উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার সময়ই ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতির কথা সামনে এনেছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘এক দেশ এক ভোট’ পদ্ধতি নিয়ে শুরু থেকেই সমালোচনায় মুখর বিরোধী দলগুলি।এই বিষয় নিয়ে মুম্বইয়ের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকেও সরব হয়ে বিরোধী নেতারা বলেন, এই নীতি প্রয়োগ করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে মোদি সরকার। তারা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়, সাংসদ এবং বিধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেটুকু বৈচিত্রের সম্ভাবনা রয়েছে, বিজেপির আগ্রাসী প্রচারের মুখে তা ভেঙে পড়বে।