মানিকচকঃ সেচ দপ্তরের উদ্যোগে ফেব্রুয়ারি থেকে মানিকচকে গঙ্গায় ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়েছে। মানিকচক ফেরিঘাটের উজানে পশ্চিম নারায়ণপুর এলাকায় প্রায় ছ’কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙন রোধের কাজ চলছে। তবে এই কাজ নিম্নমানের হচ্ছে বলে ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা। এনিয়ে তাঁরা লিখিতভাবে সেচ দপ্তর ও প্রশাসনকে অভিযোগ খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
কয়েক মাস আগে মানিকচক ঘাটের উজানে পশ্চিম নারায়ণপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ হঠাৎ ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছিল। এনিয়ে স্থায়ী ভাঙন রোধের দাবিতে ফের সরব হন গ্রামবাসীরা। সম্প্রতি সেচ দপ্তরের উদ্যোগে প্রায় ছ’কোটি টাকা ব্যয়ে পশ্চিম নারায়ণপুর থেকে মথুরাপুরের দিকে উজানে গঙ্গার বাম তীরে ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়েছে। এখানে প্রায় ৪৬০ মিটার কাজ হওয়ার কথা। এই কাজের মান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় গ্রামবাসী মনোজ মণ্ডলের বক্তব্য, ‘ভাঙন রোধের নামে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। কাজের শিডিউলও দেখানো হচ্ছে না। শুধু বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের কাজ হচ্ছে। অথচ বস্তায় পর্যাপ্ত মাটি ভরা হচ্ছে না। বস্তা খালি রেখেই নাইলনের ক্রেটে ভরে নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এতে কাজের কাজ কিছুই হবে না। আমরা নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিজেপি নেতা সুভাষ যাদব এনিয়ে প্রশাসন ও সেচ দপ্তরকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘নারায়ণপুরের উজানে প্রায় আধ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গঙ্গায় ভাঙন রোধের কাজ হওয়ার কথা। অথচ দেখা যাচ্ছে একটি এলাকাতেই ভাঙন রোধের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যার পরিধি খুব বেশি হলে ২০০ মিটার। বাকি অংশে কোনও কাজ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। অর্থাৎ সম্পূর্ণ কাজ না করেই বিল মেটানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া একটি বস্তায় অন্তত ৪০ থেকে ৫০ কেজি মাটি ভরার কথা। সেখানে ১৫ থেকে ২০ কেজি মাটি ভরা হচ্ছে। নাইলনের ক্রেটের মান এতটাই খারাপ যে বস্তা ভরে ফেলার পরে তা ছিঁড়ে যাচ্ছে। বারবার বলার পরেও গ্রামবাসীদের শিডিউল দেখানো হচ্ছে না। গ্রামবাসীদের দাবি, শিডিউল অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’
মানিকচকের বিডিও অনুপ মুখার্জি বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সেচ দপ্তরকে দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’ অন্যদিকে, সেচ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, কাজ যথাযথভাবেই হচ্ছে। অভিযোগের কোনও যথার্থতা নেই। তবু অভিযোগ যখন উঠেছে তদন্ত করে দেখা হবে।