উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: নানা ক্ষেত্রে রসুনের গুণ অনেকটাই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা থেকে শুরু করে সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে উপকারী রসুন। তবে আপনি কি জানেন? রসুনের মতোই উপকারী সেটির খোসা। রসুনের খোসায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। যা শরীরের নানা উপকারে লাগে। আর কী কী কাজে লাগে রসুনের খোসা? জেনে নিন…
ফ্লেভার্ড ভিনিগার– ভিনিগারের নিজস্ব গন্ধ ভালো নয়। কিন্তু রান্নার কাজে তা ব্যবহার করতেই হয়। তাই ভিনিগারের বোতলে বেশকিছু রসুনের খোসা যদি রেখে দেওয়া যায়, তবে তার গন্ধ ভালো আসে। যেকোনও রান্নায় বা স্যালাডেও ব্যবহার করা যায় এই ভিনিগার।
রসুন তেল– পরিষ্কার কাচের শিশিতে রোদে শুকনো করে গুঁড়ো করা রসুনের খোসা এবং অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে রাখতে পারেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে তেলের ওই শিশি রোদে বসিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে রসুনের তেল। স্যালাডের ড্রেসিং হিসেবে অনেকেই এই তেল ব্যবহার করেন।
জৈব সার তৈরিতে– রসুনের খোসা ফেলে না দিয়ে অন্যান্য আনাজের খোসা, ডিমের খোসার সঙ্গে মিশিয়ে ফেলতে পারেন। গাছের পুষ্টি বাড়িয়ে তুলতে এই জৈব সারের কোনও বিকল্প নেই।
চা তৈরি করতে– আবহাওয়া পরিবর্তনে সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা জ্বর-সর্দিতে দারুণ কাজ করে রসুনের চা। কিন্তু রসুনের ঝাঁঝালো গন্ধ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। তবে চায়ে রসুনের বদলে রসুনের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলেই রসুনের মতো এত উগ্র গন্ধ হবে না, আবার সব গুণও পাওয়া যাবে।